ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়

‘শর্তপূরণে ব্যর্থ হলে চলে যেতে হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৬
‘শর্তপূরণে ব্যর্থ হলে চলে যেতে হবে’ ছবি : বাংলানিউজটোয়েটিফোর.কম

ঢাকা: যে সকল প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শর্ত পূরণে ব্যর্থ হবে, তাদের শিক্ষা কার্যক্রম বাতিল করা হবে। তারা থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

তিনি বলেছেন যারা নিজস্ব ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারবেন না, তারা চলে যাবেন।

বুধবার (০৯ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) মিলনায়তনে গুণী লেখক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ইউজিসি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ইউজিসি পরিচালনা পরিষদের সদস্য প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম ও ইউজিসি’র অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।  

ইউজিসি প্রথমবারের মত ৭১ জন গুণী শিক্ষককে লেখক সংবর্ধনা প্রদান করেছে। এতে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুণী শিক্ষকদের গবেষণাধর্মী লেখার মূল্যায়ন করা হয়। ‘ইউজিসি লেখক সংবর্ধনা-২০১৬’ এ লেখক সংবর্ধনা পান আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের উপাচার্য এ কে এম আজহারুল ইসলাম, সংবর্ধনা পান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক এম আমিনুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আয়শা বেগমসহ ৭১ জন গুণী শিক্ষক। গুণী এই লেখকদের হাতে একটি সম্মাননা ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী।

সম্মাননা প্রদান শেষে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বই পড়ে জ্ঞান অর্জনের বিকল্প নেই। এর জন্য বেশি করে গবেষণাধর্মী লেখা বের করতে হবে। মুনাফা লোভী কিছু শিক্ষক আছেন যারা শিক্ষাটাকে বাণিজ্য হিসেবে নিয়েছেন।

তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, শিক্ষার নামে সার্টিফিকেট বিক্রি চলবে না, বাণিজ্য চলবে না। শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্যের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন।

শিক্ষকদের নিবেদিত প্রাণ শিক্ষার্থী গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, শুধু টাকার কথা চিন্তা করলে হবে না, আপনাদের নিবেদিত প্রাণ হিসেবে শিক্ষা দিতে হবে।
 
দেশে অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, আমাদের ৩৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া ৯১টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে। যার ২৭টি ইতোমধ্যে নিজস্ব ক্যাম্পাসে চলে গেছে। বাকি যারা রয়েছে তারা শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে তাদের অনুমোদন বাতিল করা হবে।  

বর্তমানে শিক্ষার বিষয়বস্তু নির্বাচন বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, যুগের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করতে হবে। আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা দিতে আমাদের বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। একই সঙ্গে বিশ্বমানের শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে হবে।

লেখক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে ভারতে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান ইউনির্ভাসিটি ফেসটিভ্যাল বেস্ট পারফরম্যান্স এ্যাওয়ার্ড অর্জনকারী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৬
এসএম/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।