ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ভবিষ্যতে ঘরে বসে ক্লাস করবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৬
ভবিষ্যতে ঘরে বসে ক্লাস করবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, ‘প্রযুক্তির শক্তি দুরন্ত। সেই দুরন্ত অতিক্রম করে আরও দূরে যাচ্ছি আমরা।

আর ভবিষ্যতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ঘরে বসে যে কোনো শিক্ষার্থী করতে পারবে এমন সুবিধা দিতে সক্ষম হবে প্রযুক্তি। ’

শুক্রবার (১১ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। তরুণ প্রজন্ম সেই প্রযুক্তি নানাভাবে কাজে লাগাচ্ছে।

জমজমাট আয়োজনে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা
সকালে জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

এ সময় তিনি বলেন, ২০২১ সালে ৫ বিলিয়ন ডলার আইটি পণ্য রফতানি করবে বাংলদেশ। আর এক মিলিয়ন তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকার কালিয়াকৈরসহ সারা দেশে ১২টি আইটি পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে। একটি নিদির্ষ্ট পরিকল্পনা সামনে রেখে আমরা সফলভাবে এগিয়ে যাচ্ছি।

পলক বলেন, ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস আইটির বাংলাদেশ হোস্ট কান্ট্রি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। এর মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আইটি ক্ষেত্রে নতুন মাত্রা পাবে। ২০২১ সালে মাইক্রোসফটসহ বিশ্বের যত বড় বড় আইটি প্রতিষ্ঠান আছে, তাদের প্রধানরা বাংলাদেশে আসবেন, আমাদের সহযোগিতা করবেন।

অনুষ্ঠানে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট মতিউল ইসলাম নওশাদ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে রবি সব সময়ই তরুণদের অদম্য শক্তির ওপর ভরসা রাখে। তাদের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ইতোমধ্যে রবি চালু করেছে বিডিঅ্যাপস ডটকম। এর মাধ্যমে প্রোগ্রামাররা তাদের দক্ষতা প্রদর্শন ও জীবনকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে নতুন নতুন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন নিয়ে আসার সুযোগ পেয়েছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার অংশীদার হতে পেরে তারা গর্বিত বলেও জানান তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শুরু হয় কুইজ ও প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগ আয়োজিত কুইজ এবং পোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় প্রায় এক হাজার ১০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

দেশের হাইস্কুল শিক্ষার্থীদের কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে আগ্রহী করে তোলা এবং তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য গত বছর থেকে এই আয়োজন শুরু করেছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ।

প্রতিযোগিতায় পোগ্রামিং ছাড়াও আইসিটি কুইজও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি এবং পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চতুর্থ সেমিস্টার পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য এবার ১৬টি আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা হবে।

ইতোমধ্যে কুমিল্লা ও টাঙ্গাইলে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব অঞ্চলের বিজয়ীদের নিয়ে আগামী ১৬ এপ্রিল ঢাকার কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা হবে।

এদিকে, শুক্রবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসিতে প্রোগ্রামিং শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রোগ্রামিং বিষয়ে প্রশ্নোত্তর পর্ব থাকছে। প্রতিযোগিতায় দুই ক্যাটাগরিতে ১০০ জন এবং কুইজে তিন ক্যাটাগরিতে ৪০ জন বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়া হয়।

আঞ্চলিক পর্বের পাশাপাশি সারাদেশে প্রতিযোগিতা উপলক্ষে এক হাজার হাইস্কুলে চলবে অ্যাকটিভিশন কার্যক্রম। ইতোমধ্যে প্রায় ৩৫০টি স্কুলে অ্যাকটিভিশন সম্পন্ন হয়েছে।

এ প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছ রবি আজিয়াটা লিমিটেড, সহযোগিতায় আছে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৪ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৬/আপডেট: ১৩০২ ঘণ্টা
এসএ/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।