ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জাবিতে র‌্যাগিং: ধরা খেয়ে কান ধরে উঠবস

নুর আলম হিমেল, জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৬
জাবিতে র‌্যাগিং: ধরা খেয়ে কান ধরে উঠবস ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: র‌্যাগিং দেওয়ার অপরাধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের(জাবি) রসায়ন বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের কান ধরে উঠবস করিয়েছেন সাবেক ভিসি ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির। তিনি ওই বিভাগেরই অধ্যাপক।



শনিবার (১২মার্চ) রসায়ন বিভাগের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রতক্ষদর্শীরা জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের প্রথমবর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেয় রসায়ণ বিভাগ পরিবার। নবীণবরণ শেষে  ৪৪তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা নতুন শিক্ষার্থীদের নিয়ে জহির রায়হান মিলনায়তনের পেছনের গেটে নিয়ে র‌্যাগ দিতে থাকে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর সেখানে এসে তাদের বকাঝকা করে বিভাগে ফিরে যেতে বলেন।

এ খবর শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির তাদের কান ধরে উঠবস করান। পরবর্তীতে এমন কাণ্ড না করার মুচলেকা নেন।

অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির বলেন, নতুনদের সবে বরণ করে নেওয়া হল। আর এরই মধ্যে এ ধরনের ঘৃণ্য কাজের মুখমুখি হতে হলো। এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজকে আমরা কখনো সমর্থন করি না। যারা এ কাজ করবে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা, সহকারী প্রক্টর শিকদার মো. জুলকারনাইন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ কাহলি, সহযোগী অধ্যাপক নাজমুল হাসান তালুকদার, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হোসনে আরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতি বছরের মতো এবারো র‌্যাগিংয়ের মত ভয়াবহ মানসিক ও শারীরিক লাঞ্ছনার হাত থেকে নবাগত শিক্ষার্থীদের রক্ষা করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিভিন্ন প্রস্তুতি নিয়েছে। র‌্যাগিংয়ের ঘটনা যাতে না ঘটে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন হল প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টরিয়াল টিম, বিভাগীয় সভাপতি সবাই।

অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবির যখন উপাচার্য ছিলেন তখন থেকেই র‌্যাগের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সোচ্চার ছিলেন। সে ধারা এখনো অব্যাহত আছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।