জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়: কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গা পেলে সেখানে জাতীয় চার নেতার নামে চারটি হল নির্মাণ করবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। ওই সব হলের অধীনে জাতীয় চার নেতার স্মৃতি রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।
সোমবার (০৮ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলে এসব সিদ্ধান্ত হয়।
পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের অব্যহৃত জায়গা পেলে জবি কী কাজ করবে তার করণীয় নির্ধারণ করতেই জরুরি একাডেমিক কাউন্সিলের সভা ডাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি।
এ সময় এসব স্থাপনা করার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, সিটি কর্পোরেশনের অধীনে জহির রায়হান স্মৃতি মিলনায়তন ও মহানগর নাট্যমঞ্চের দেখভাল করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। তার কী অবস্থা আপনারা সবাই জানেন! এগুলো দেখভাল ছাড়াও সিটি কর্পোরেশনকে নাগরিক সেবা দিতে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। আমি মনে করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন চার নেতার মাজার দেখভাল করা অনেক কার্যকরী হবে। আশা করি, সরকার আমাদের আবাসন সংকট নিরসনে এ দাবিগুলো মেনে নিয়ে কেন্দ্রীয় কারাগারের জমি বিশ্ববিদ্যালয়কে দেবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৩ মার্চ কেন্দ্রীয় কারাগারের জমি পেতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বরাষ্ট্র সচিব বরাবর আবেদন করে। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এখনও কোনো উত্তর পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে, নতুন হল নির্মাণ ও কেন্দ্রীয় কারাগারের জমিতে হল করে আবাসন সংকট নিরসনের দাবিতে সোমবার ৭ম দিনের মতো আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টর। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আবারও ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ সমাবেশে ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৬
এমজেএফ/