ঢাবি: ঢাকা ইউনিভার্সিটি কালচারাল সোসাইটি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর রিভিউ প্রতিযোগিতা’ এর পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে এ প্রতিযোগিতা হয়েছিল।
সোমবার (২২ আগস্ট) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দফতর সংলগ্ন লাউঞ্জে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে মূল আলোচক ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাপত্রের রচয়িতা বাংলাদেশের সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের পরিচালক এম এম মহীউজ্জামান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি কালচারাল সোসাইটির মডারেটর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী। সোসাইটির সহ সভাপতি সাহস মোস্তাফিজ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।
অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সন্তান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের পক্ষে গরিব-মেহনতি মানুষের জন্য যে আন্দোলনের সূচনা করেছিলেন, তা থেকে এগিয়ে গেছেন জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের দিকে। জীবনব্যাপী আপোসহীনভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে গেছেন। বাঙালি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দিয়েছেন স্বাধীনতা’।
বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন থেকে শিক্ষা এবং তার দর্শন থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান উপাচার্য।
অনুষ্ঠানের মূল আলোচক ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলাম বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনের আদর্শ ও ঐতিহাসিক জীবন সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরেন।
আলোচনা শেষে প্রতিযোগিতায় পাঁচজন বিজয়ীর হাতে পুরস্কার হিসেবে বই, সনদপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন আইন বিভাগের ছাত্র খায়রুল ইসলাম তাজ এবং যৌথভাবে রানার্স আপ হন মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের ছাত্র রাফি শামস ও গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ছাত্র মো. রাগীব হাসান। আরও দু’জনকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৬
এএসআর