ঢাকা: হলের দাবিতে ২০০৯ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) শিক্ষার্থীরা। দফায় দফায় আন্দোলন হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি ঢাকার পরিত্যক্ত কেন্দ্রীয় কারাগারের জায়গায় নতুন হল নির্মাণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পূর্বঘোষিত ছাত্র ধর্মঘটে কয়েক দফা অচল হয়ে পড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।
তবে শেষ পর্যন্ত স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে জবি শিক্ষার্থীদের। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল’ এর আদলে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ এর নামে হল নির্মাণ করা হবে জবি’র জন্য। সেখানে এক হাজার শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা হবে। কেরানীগঞ্জে জবি’র নিজস্ব অর্থায়নে ২৫ বিঘা জমি কেনা হয়েছে। এই জমির উপর নির্মিত হবে পূর্ণাঙ্গ হল।
৬৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮ হাজার ৫৯০ বর্গমিটারের এই ১০ তলা হল নির্মাণ করা হবে।
জবির হল নির্মাণসহ ২৭৪ কোটি টাকার একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
ইউজিসি সচিব ড. মোহাম্মদ খালিদ বাংলানিউজকে বলেন, হল নির্মাণের প্রস্তাব জবি আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। অনুমোদনের জন্য অামরা তা পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছি। ’
ছাত্র হলের পাশাপাশি একই সঙ্গে ছাত্রীহল নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) ড. মীজানুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, কেরানীগঞ্জে আমাদের নিজস্ব জমি আছে সেখানে ১০ তলা পূর্ণাঙ্গ হল নির্মাণ করা হবে। ১ হাজার আসনের হলটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসীন হলের আদলে হবে। মুহসীন হলের শিক্ষার্থীরা যে সব সুযোগ সুবিধা পায় এই প্রস্তাবিত হলে একই সুবিধা পাবে। দ্রুততম সময়ে আমরা হল নির্মাণ করবো। ’
হল নির্মাণসহ ২৭৪ কোটি ১০ লাখ টাকার একটি প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। জবি ক্যাম্পাসে ২০ তলা একাডেমিক ভবনও নির্মাণ করা হবে। চলতি সময় থেকে শুরু করে জুন ২০২০ সালের মধ্যেই হল ও একাডেমিক ভবন নির্মাণ করা হবে।
এই প্রকল্প ছাড়াও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন শীর্ষক একটি প্রকল্প ১০৭ কোটি টাকা বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় বর্তমান একাডেমিক ভবন সম্প্রসারণ, ইউটিলিটি ভবন ও ছাত্রীদের জন্য ‘শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব’ নামে একটি হল নির্মাণের কাজ চলমান আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০১৬
এমআইএস/আরআই