রোবরার (০৫ মার্চ) স্কুল পরিচালনা কমিটি তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে।
উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মোতাহার আলী বাংলানিউজকে জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফুন্নেসার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
স্কুল পরিচালনা কমিটি শনিবার (০৪ মার্চ) জরুরি সভা আহ্বান করে। সভায় সার্বিক আলোচনা শেষে ছাত্র নির্যাতনকারী দুই শিক্ষককে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়।
পণ্ডিতপুকুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহবুব হোসেন উজ্জল বাংলানিউজকে বলেন, একক সিদ্ধান্তে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে মেধাবী স্কুলছাত্র কাওসারকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করায় দায়ে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম সাময়িক বরখাস্ত ও খণ্ডকালীন সহকারী শিক্ষক আমজাদ হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের পণ্ডিতপুকুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র কাওসার মাহমুদকে অফিস কক্ষে ডেকে এনে প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক আমজাদ হোসেন দু’জন মিলে নির্যাতন করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) ভর্তি করা হয়। এখনো ওই ছাত্র শজিমেকে চিকিৎসাধীন।
গত ১ মার্চ (বুধবার) ছাত্রের বাবা হাসান মাহমুদ অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের বিচার চেয়ে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর অভিযোগ দেন। পাশাপাশি নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফুন্নেসা উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা মোতাহার আলীকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৭
এমবিএইচ/আরআইএস/জেডএস