রোববার (৫ র্মাচ) সকাল ১০টায় আবাসিক হলের শিক্ষার্থীদের কাছে নির্যাতিত শিশুটিই এ অভিযোগ করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকে হারুন মিয়ার হদিস মিলছে না।
শিশুটি জানায়, হারুন মিয়া টাকার প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে একাধিকবার বলাৎকার করেছে তাকে। এমনকি ক্যান্টিনের আরও ৫-৬ শিশুকেও দীর্ঘদিন ধরে হারুন মিয়া যৌন নিপীড়ন করে আসছে বলে অভিযোগ করে সে।
ভুক্তভোগী আরেক শিশু জানায়, ‘বাড়িতে ভাত নাই। তাই আমার বাবা এহানে (এখানে) কাম (কাজ) করতে দিছে। হারুনের অকামের কথা কয়ে (বলে) দিলে আমারে এহান (এখান) থিকা (থেকে) বাইর কইরা (করে) দিত। তাই এতদিন সব সহ্য করছি। ’
ভুক্তভোগীদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বাংলানিউজকে জানান, হারুন মিয়ার বউ তাদের ডেকে মীমাংসার জন্য বলেছেন। কিন্তু তারা হলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কাছে ন্যায্য বিচার চান।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দাস বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি প্রভোস্ট স্যারকে জানিয়ে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।
জানতে চাইলে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলেন, কিছু জানতে চাইলে ফোনে নয়, সামনাসামনি এসে কথা বলতে হবে।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলেন, অপরাধ সত্য প্রমাণ হলে হারুনকে রেহাই দেওয়া উচিত হবে না, নইলে এ ধরনের হীন অপরাধীরা প্রশ্রয় পেয়ে যাবে।
হারুনকে ক্যান্টিনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে পুলিশে সোপর্দের দাবিও জানান শিক্ষার্থীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৫, ২০১৭
এইচএ/