এদেরকে প্রতিহত করতে ৭১-এর মতো আবার আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। সারাদেশের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে এ ধরনের অপশক্তিকে পরাজিত করতে হবে।
সোমবার (২৭ মার্চ) ৪৭তম স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ সব কথা বলেন বক্তারা।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) ও নারী মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার পালাবদলে নানাভাবে আমাদের ইতিহাস বিকৃত হয়েছে। স্বাধীনতার এতো বছর পরও আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে পারিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশের আপামর জনগণের ভূমিকার পাশাপাশি অন্যান্য রাষ্ট্র ও বিদেশি সাংবাদিকরা কি ভূমিকা রেখেছিলেন তার সঠিক ইতিহাস আমাদের শিক্ষার্থীদের জানতে হবে’।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ-উল-করিম খান, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইকবাল জুবেরী, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মীর মুর্ত্তজা আলীসহ বিভিন্ন বিভাগের প্রধানরা।
পরে স্বাধীনতা দিবস নিয়ে রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সংগীত পরিচালক এনায়েত-এ মওলা জিন্নাহর পরিচালনায় শিক্ষার্থীরা দেশাত্মবোধক ও স্বাধীন বাংলা বেতারের গান পরিবশেন করেন।
এছাড়া ২৬ মার্চ সকালে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. লায়লা পারভীন বানু এবং রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা র্যালি নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে সমবেত হয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১৭
জিপি/বিএস