রোববার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টা ও দুপুর ২টার দিকে দুইবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবন ও প্রধান গেটের সামনে মারামারি হয়।
জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ডায়েরি, ক্যালেন্ডার তৈরির জন্য দরপত্র আহ্বান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১০টার দিকে ক্যাম্পাসের প্রতিপক্ষ বরিশাল, ময়মনসিংহ ও গোপালগঞ্জ গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মীরা শরিফ-সিরাজকে টেন্ডার জমা দিতে বাধা দিলে মারামারির সূত্রপাত হয়। এতে সিরাজের কর্মী সম্রাট, জুয়েলসহ চারজন আহত হন।
এ সময় জবি প্রক্টর নূর মোহাম্মদ, সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল ও কোতোয়ালী থানার ওসি (তদন্ত) মওদুদের হস্তক্ষেপে দু’পক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
পরে দুপুর ২টার দিকে শরিফ-সিরাজ এবং সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শামীমের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর হামলা করে। এতে ময়মনসিংহ গ্রুপের কর্মী শান্ত চাপাতির আঘাতে গুরুতর জখম হন। এছাড়া পিয়াস, রাশেদসহ আরও তিন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন।
জবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আমি আজ ক্যাম্পাসে যাইনি এবং আমার পক্ষ থেকে কোনো টেন্ডার জমা দেওয়া হয়নি।
অভিযোগ অস্বীকার করে জবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামও একই কথা বলেন।
জানতে চাইলে জবি প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, আমি সকালের ঘটনায় উপস্থিত ছিলাম। এটি তেমন বড় কোনো ঘটনা ছিল না। তবে ২টার সময় যে ঘটনা ঘটেছে তা ক্যাম্পাসের বাইরে, তাই এ বিষয়ে তেমন কিছু জানি না।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪১ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
ডিআর/এএটি/আইএ