মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড বরিশাল জেলা ও মহানগর শাখার আয়োজনে সোমবার (১৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনের সড়কে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড বরিশাল জেলা শাখার আহ্বায়ক শেখ সাইদ আহম্মেদ মান্নার সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা এম জি কবির ভুলু, বরিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এস এম ইকবাল, অ্যাড. গোলাম সরোয়ার কাজল, বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল, কাজল ঘোষ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব মো. শাহরিয়ার কবির রিজন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন সেরনিয়াবাত, শুভঙ্কর চক্রবর্তী, জিয়াউর রহমান জিয়াসহ অন্য নেতারা।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ করা হচ্ছে না। এছাড়া নানা অনিয়ম নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে ২য় শ্রেণী উল্লেখ থাকলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সমমান পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রচলিত জিপিএ’র সঙ্গে সনাতন পদ্বতির বিভাগের সমতা নির্ধারণেও নিজেদের ইচ্ছেমাফিক নিয়ম জারি করেছেন। যা শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন সচিবালয়ের সমতা বিধান প্রজ্ঞাপনকে অবমাননার সামিল।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ একটি অসাধুমহল নিয়োগ বাণিজ্যকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়েছে। যা নিয়ন্ত্রণ করছে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী একটি চক্র। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করাসহ নানা অনিয়মকে উৎসাহিত করছে ঐ চক্র।
বক্তারা বলেন, মুক্তযোদ্ধার সন্তানদের মূল্যায়ন করছেন না ভিসি। অচিরেই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসির অপসারণ দাবি জানান তারা।
মানববন্ধন শেষে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরবর্তীতে বরিশালের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৭
এমএস/জেডএস