ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শাবিপ্রবি ভর্তিতে চা শ্রমিক সন্তানদের পৃথক কোটা দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৯, ২০১৭
শাবিপ্রবি ভর্তিতে চা শ্রমিক সন্তানদের পৃথক কোটা দাবি শাবিপ্রবিতে চা শ্রমিক সন্তানদের ৫ শতাংশ কোটা দাবিতে ভিসি বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হচ্ছে

সিলেট: শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) চা শ্রমিক সন্তানদের ৫ শতাংশ কোটা দাবিতে ভিসি বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (০৯ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন সিলেট চা জনগোষ্ঠী ছাত্র-যুব কল্যাণ পরিষদ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, সিলেট বিভাগে ১৫৮টি চা বাগান রয়েছে।

এসব চা বাগানের নিরীহ শ্রমিক জনগোষ্ঠী সেই ব্রিটিশ শাসনামল থেকে শোষিত হয়ে আসছে। বাগান কর্তৃপক্ষ মুনাফা অর্জন করলেও শ্রমিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন হয়নি। বর্তমান সরকার মধ্যম আয়ের দেশ ঘোষণা করলেও চা বাগানের শ্রমিকরা বিচ্ছিন্ন জনগোষ্ঠী হিসেবেই আছে। চা বাগানের শ্রমিকরা ৮৫ টাকা মজুরি ভিত্তিতে কাজ করে, যা দুই কেজি চাল কেনারও মূল্য নয়, মৌলিক চাহিদা পূরণতো স্বপ্ন। এই আয়ের বিপরীতে চলে ৪/৫ জন চা শ্রমিকের সংসার।

এ অবস্থায় একজন শ্রমিকের সন্তান কি করে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন দেখতে পারে? প্রশ্ন রেখে স্মারকলিপিতে বলা হয়, সরকার হয়তো নিজ স্বার্থে তাদের ভোটাধিকার দিয়েছে, কিন্তু অধিকার দেয়নি। অন্যের জমিতে বসবাসকারী পরাধীন জাতি চা শ্রমিকরা সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে নিজ সন্তানদের ভর্তির স্বপ্ন দেখা অবাস্তব।

এছাড়া চা বাগানের মালিক সমিতি কখনোই চায় না শ্রমিক সন্তানেরা ন্যূনতম শিক্ষায় শিক্ষিত হোক। বর্তমানে সভ্য সমাজের ছোঁয়ায় চা শ্রমিকদের সন্তানেরা শিক্ষাক্ষেত্রে কিঞ্চিৎমাত্র এগিয়ে আসছে। বাকিরা সুশিক্ষার অভাবে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়ছে। অথচ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন ধরণের কোটা থাকলেও চা শ্রমিকদের সন্তানরা ভর্তির স্বপ্ন দেখতে পারছে না। ফলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের পথ মসৃণ করতে, স্বপ্ন বাস্তবায়নে শাবিপ্রবিতে পৃথক কোটা পদ্ধতি চালুর দাবি জানাচ্ছি।

স্মারকলিপি প্রদানকালে সংগঠনের সভাপতি দিলীপ রঞ্জন কুর্মী, সাধারণ সম্পাদক সুজিত বাড়াইক ও অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৯, ২০১৭
এনইউ/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।