ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

আবেদনকারীর টাকা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি বাকৃবি শিক্ষার্থীদের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
আবেদনকারীর টাকা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি বাকৃবি শিক্ষার্থীদের

বাকৃবি (ময়মনসিংহ): বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) ২০১৭-২০১৮ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় বসতে না দেয়া শিক্ষার্থীদের আবেদন ফি’র টাকা ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এদিকে এ ব্যাপারে অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর থেকেই আবেদনকারীদের ফি ফেরত দেয়া নিয়ে আন্দোলন করে আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়ন।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করার পরপরই এ বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় ব্যতীত সমষ্টিগতভাবে কমপক্ষে জিপিএ ৯.০০ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বাকৃবির ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন উল্লেখ করে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। তবে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আসন সংখ্যার ১০ গুণ অর্থাৎ ১২ হাজার শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেয়া হবে এবং বাকী আবেদনকারীদের পরীক্ষায় বসতে দেয়া হবে না।

এ বছর অনলাইনে প্রায় ২৫ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন এবং আবেদনকারী সব শিক্ষার্থীদের ৭০০ টাকা করে আবেদন ফি দিতে হয়েছে।

এদিকে, এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় বাদে ৯.৬৭ প্রাপ্ত ১২ হাজার ২১২ জন শিক্ষার্থীকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়েছে। বাকী ১৩ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

পরীক্ষায় বসতে না দেয়া শিক্ষার্থীদের আবেদন ফি ফেরত না দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে ভেটেরিনারি অনুষদের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রাফসান জানি নয়ন বাংলানিউজকে বলেন, ভর্তিযুদ্ধের সময় একজন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হয়। এজন্য অনেক টাকা খরচ হয়। সেখানে বাকৃবিতে ১৩ হাজার শিক্ষার্থী টাকা খরচ করেও পরীক্ষা দিতে পারছেন না। এ বছর বাদ পড়া ১৩ হাজার শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ৭০০ টাকা করে আবেদন ফি নেয়া হলে মোট টাকার পরিমাণ দাড়ায় ৯১ লাখ টাকা। যারা এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠই পার হতে পারলেন না তাদের কাছ থেকে এ ৯১ লাখ টাকা নেয়ার যৌক্তিকতা কী?

আরেকজন শিক্ষার্থী বলেন, যাদের জিপিএ ৯.০০ আছে তাদের সবাইকে বিনামূল্যে আবেদন করার সুযোগ দেয়া যেতে পারে। তারপর আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ১২ হাজার শিক্ষার্থীকে বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং যারা যোগ্য প্রার্থী হবেন শুধু তারাই টাকা জমা দিয়ে এডমিট কার্ড তুলতে পারবেন। এটা খুবই কার্যকরী প্রক্রিয়া হবে বলে তিনি মনে করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. সুভাষ চন্দ্র চক্রবর্তী বাংলানিউজকে বলেন, আবেদনকারীদের সবাইকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হবে না তা ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতেই বলা হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষায় বসতে না পারা আবেদনকারীদের আবেদন ফি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০১৭
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।