ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কুবিতে সব নিয়োগ বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৭
কুবিতে সব নিয়োগ বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ

কুবি: তিন সপ্তাহ ধরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে আন্দোলন চলছে। এ কারণে এ সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

জানা যায়, রোববার (২৯ অক্টোবর) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে পাঠানো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বলা হয়, ‘কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি-২০১৭ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফ এর বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব  নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হলো। ’

২৫ অক্টোবর শিক্ষক সমিতি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, আর্থিক দুর্নীতি, শিক্ষক লাঞ্ছনা, বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু, বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ অত্মসাৎ করাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগসহ একটি চিঠি পাঠায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে।

এ সব অভিযোগের কারণে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক সমিতি চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে দফায় দফায় আন্দোলনও করে আসছে।  

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবৈধভাবে নিয়োগ বোর্ডে সদস্য নিয়োগের প্রতিকার চেয়ে শিক্ষক সমিতি রোববার রেজিস্ট্রার বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়েছে।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির বিভিন্ন পদের নিয়োগ বোর্ডে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জি. এম. আজমল আলী কাওছার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে শিক্ষা ছুটিতে থাকাকালীন নিয়মবহির্ভূতভাবে নিয়োগ বোর্ডে বসতেন। এমনকি বিদেশে স্কলারশীপ নিয়ে শিক্ষা ছুটিতে থাকাকালীনও নিয়োগ বোর্ডে বসেন। যেখানে শিক্ষা ছুটিতে থাকাকালীন পরীক্ষা কমিটি, প্ল্যানিং কমিটিসহ কোনো কমিটিতেই একজন শিক্ষকের থাকার সুযোগ নেই।

স্বারকলিপিতে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে রেল নাশকতা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও শিবির ক্যাডার খলিলুর রহমানকেও অফিস সহকারী কাম ডাটা প্রসেসর পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশ দেয়া হলেও আত্মীয় হওয়ায় উপাচার্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফের বিচার ও অপসারণের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষকরা গত ১৬ অক্টোবর উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। শিক্ষকদের এ ক্ষুব্ধ অবস্থানের কারণে উপাচার্য ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যালয়ে আসেননি।

এ সব বিষয়ে কথা বলতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি ফোন তুলে, ‘ব্যস্ত আছি। ’ বলে রেখে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩২ ঘণ্টা, ৩০ অক্টোবর, ২০১৭
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।