ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বেরোবি প্রক্টরের ব্যাখ্যা, প্রতিবেদকের বক্তব্য

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
বেরোবি প্রক্টরের ব্যাখ্যা, প্রতিবেদকের বক্তব্য

ঢাকা: ‘সেই সাজাপ্রাপ্ত কর্মচারী আবারও ভর্তি কার্যক্রমে’ শিরোনামে শনিবার (২৫ নভেম্বর) বাংলানিউজে প্রকাশিত সংবাদে নিজের বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) ড. ফরিদ উল ইসলাম। সংবাদটিতে তার বক্তব্যকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।

রোববার (২৬ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষা।
 
রোববারই বেরোবি’র জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের সহকারী প্রশাসক তাবিউর রহমান প্রধান স্বাক্ষরিত ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ‘সংবাদটির বিষয়ে সঠিক বক্তব্য হলো- উপাচার্য চলতি ভর্তি পরীক্ষায় কোনো অনুষদের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন না।

তিনি সামাজিক বিজ্ঞান এবং জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করলেও সমন্বয়ক হিসেবে যথাক্রমে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং ভূগোল ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আতিউর রহমানকে সংশ্লিষ্ট অনুষদগুলোতে (ইউনিট) সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন, যা কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মতে কার্যকর করা হয়েছে। সুতরাং বর্তমান ভর্তি পরীক্ষায় বিভিন্ন ইউনিটের সঙ্গে উপাচার্যের সরাসরি কোনো সম্পর্ক না থাকায় প্রশ্নপত্রসহ কোনো বিষয়ে সংশ্লিষ্টতাও নেই’।
 
‘এ কারণে তার ব্যক্তিগত সহকারী কিংবা একান্ত সচিবসহ উপাচার্য সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা/কর্মচারীর ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার কোনো সুযোগ নেই’।  
 
এই বিষয়ে প্রতিবেদকের বক্তব্য:
সংবাদটি নির্ভরযোগ্য সূত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. তুহিন ওয়াদুদ এবং নীল দলের সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদের অভিযোগসহ বিষয়টি নিশ্চিত হয়েই প্রথমে প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) ড. ফরিদ উল ইসলাম এবং পরে উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। সেক্ষেত্রে  প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) ড. ফরিদউল ইসলাম বলেছিলেন, ‘বিষয়টি উপাচার্যকে জানাবো। তারপর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’ (যার প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে)। অথচ তিনি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তার বক্তব্যকে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন। যেখানে বক্তব্যে কোন অংশটিকে বিকৃত করা হয়েছে তা ব্যাখ্যা করা হয়নি।

পরবর্তিতে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। যা প্রকাশিত  সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছিল।

জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের সহকারী প্রশাসক তাবিউর রহমান প্রধান স্বাক্ষরিত ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, উপাচার্য চলতি ভর্তি পরীক্ষায় কোনো অনুষদের সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন না। ’  যেখানে উপাচার্য ক্ষমতাবলে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান/সভাপতি এবং সামাজিক বিজ্ঞান এবং জীব ও ভূ-বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির বিভিন্ন সভায় সভাপতিত্বও করছেন।  

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয় যে, এই দু’টি অনুষদের সমন্বয়ক হিসেবে যথাক্রমে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আতিউর রহমানকে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে কবে এবং কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির কততম সভায় সে  সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭/আপডেটেড ০২০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭
এএসআর/এসএইচ

** সেই সাজাপ্রাপ্ত কর্মচারী আবারও ভর্তি কার্যক্রমে!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।