ফলাফল প্রকাশ উপলক্ষে শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
সার্বিক ফলাফলে আপনি সন্তুষ্ট কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই।
‘যদিও আমার প্রত্যাশা হলো শতভাগ শিশু। আমাদের প্রধানমন্ত্রীরও প্রত্যাশা হলো আমাদের ছাত্ররা ফেল করবে কেন? তাদের ভালোভাবে পড়ান, আমাদের শিক্ষকদের জন্য তো আমরা অনেক কিছু করতেছি। ছাত্ররা ফেল করবে কেন? ফেল তো করার কথা না। পরীক্ষাটা আমরা ভালোভাবে যেমন নেব, তার জন্য প্রস্তুতি দরকার। আমরা প্রস্তুত করে দেব। পড়তে না পারলে ফেল করে। আমাদের অন্যান্য দুর্বলতার জন্য ছাত্ররা…। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে শতভাগ ছাত্ররা এক ক্লাস থেকে আরেক ক্লাসে যায়, আমাদের দেশে যেতে পারবে না কেন? সেটার জন্য তাগাদা দেন। মানুষের প্রত্যাশা তো সব সময় পূরণ হয় না।
তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করতেছি, এখনও আমরা আপ টু দ্য মার্ক যায়নি। শতভাগটাকে আপ টু দ্য মার্ক ধরলে শতভাগে তো এখনও যায়নি। এনরোলমেন্ট ৯৮ শতাংশ। আমাদের দেশের এর মানে শতভাগ ধরা হয়। এই ক্ষেত্রেও আমি মনে করি অসন্তুষ্ট হবার মতো কোনো ফল দেয়নি। ৯৫ শতাংশ মানে এটা মোটামুটিভাবে উৎসাহব্যঞ্জকই বলবো। তবে, ভালোর কোনো শেষ নাই। শেষ ধাপে যাওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাবো।
ফলাফলে কোথাও দুর্বলতা আছে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, কোথায় কোথায় ল্যাপস আছে, কোথায় কোন ত্রুটি, কীভাবে নিবারণ করা যাবে, সেটার জন্য আলাদা করে…। প্রশ্নগুলো নিয়ে আমি তৈরি করবো, পরবর্তীতে মন্ত্রলণালয় বা ডিজি অফিসে এসে আপনারা উত্তর পাবেন।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার ৯৫.১৮ শতাংশ, আর ইবতেদায়িতে পাসের হার ৯২.৯৪ শতাংশ। এবার প্রাথমিকে জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই লাখ ৬২ হাজার ৬০৯ জন, ইবতেদায়িতে পাঁচ হাজার ২৩ জন শিক্ষার্থী।
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব আসিফ উজ জামান, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু হেনা মোস্তফা কামাল ছাড়াও অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৭
এমআইএইচ/আরএম/এসএইচ