ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

সিলেটে ১০ সহস্রাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই উৎসব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০১৮
সিলেটে ১০ সহস্রাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই উৎসব সিলেটে বই উৎসব

সিলেট: সারা দেশের ন্যায় সিলেটেও উৎসবমুখর পরিবেশে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভাগের ৪ জেলায় ১০ হাজার ৬৯১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একযোগে বই উৎসব উদযাপন করা হয়েছে।

নতুন বছরের প্রথম দিনে উৎসবের মধ্যদিয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ২৮ লাখ ৪৫ হাজার ২৬৯ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই ওঠলো। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।

সোমবার (১ জানুয়ারি) সিলেটের দক্ষিণ সুরমা কাইস্তরাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রথম বই উৎসবের উদ্বোধন করেন বিভাগীয় কমিশনার নামজুনারা খানুম।  

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) রাহাত আনোয়ার, জেলা শিক্ষা অফিসার নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহেদ মোস্তফা।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের উপ-পরিচালক তাহমিনা খাতুনের সভাপতিত্বে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোছলেমা বেগমের উপস্থাপনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল জান্নাত রিপা, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নিজাম উদ্দিন প্রমুখ।  

পরে একে একে সিলেট সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ব্লু-বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন অতিথিরা।  

সিলেট বিভাগীয় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বাংলানিউজকে জানান, এবার বিভাগের প্রথমিক ও ইবতেদায়ী এবং আনন্দ স্কুল মিলিয়ে ৯ হাজার ১৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই বিতরণ করা হয়েছে। উৎসবের অংশ হিসেবে বিভাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১৬ লাখ ৬৪ হাজার ৭০৫ জন শিক্ষার্থীর হাতে পৌঁছা যাচ্ছে ৭৮ লাখ ৫৬ হাজার ৯৪টি নতুন বই।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবীর বাংলানিউজকে বলেন, বিভাগ জুড়ে মাধ্যমিক, ইবতেদায়ী ও ভোকেশনাল এবং ইংরেজি ভার্সন মিলিয়ে দেড় সহস্রাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১১ লাখ ৮০ হাজার ৫৬৪ জন শিক্ষার্থীর হাতে উঠছে নতুন বই। এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫৭১টি বই বিতরণ করা হচ্ছে।

গত বছরের তুলনায় এবার ৮ লাখ ৮১ হাজার ৬টি বই বেশি বিতরণ করা হচ্ছে। তবে চাহিদার তুলনায় বইয়ে কোনো ঘাটতি থাকবে না বলেও জানান শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর কবীর।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৮
এনইউ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।