তবে বিভাগের শিক্ষকদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদের।
সোমবার (১২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ-মিছিল করা হয়।
পরে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করেন এবং চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো তুলে ধরেন।
ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীদের দাবি, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পরপর বিভাগে শুরু হয় নানা অনিয়ম। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিচ্যুত রাখেন তিনি। তার এমন অনিয়মে ক্লাস পরীক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে বিভাগটিতে সেশন জট সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ক্লাস ফাঁকি দিয়ে একদিনে তিনটি ক্লাসের এটেনডেন্স নেন বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
জানা গেছে, বিভাগের একমাত্র অধ্যাপক হওয়ার কারণে ২৪ এর ২ ধারা মোতাবেক গতবছর ৩ এপ্রিল ড. আবুল কালামকে বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চেয়ারম্যানের মেয়াদকাল ৩ বছর হলেও মাত্র ৯ মাস পরে এবছর ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে বিশেষ ক্ষমতাবলে চেয়ারম্যান থেকে অপসারণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য। কিন্তু ওই চেয়ারম্যান হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানালে গত ৪মার্চ (রোববার) থেকে আগামী ৩ মাসের জন্য চেয়ারম্যান অপসারণ আদেশ স্থগিত করে হাইকোর্ট।
পরে আবারও এক জরুরি আদেশে চেয়ারম্যান হিসেবে স্বপদে বহাল থাকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লিখিত অনুমতি পান তিনি। হাইকোর্ট থেকে এমন স্থগিতাদেশ আসার পরে আবারও ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ না জানিয়েই তাকে অপসারণ করানো হয়েছে। অপসারণ পত্রে তাকে জানানো হয়, তার বিভাগের শিক্ষকদের পত্রের ভিত্তিতে তাকে অপসারণ করানো হলো। পরে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করলে, অপসারণ আদেশ স্থগিত করে তাকে তিন মাসের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে থাকার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
চেয়ারম্যানপদ থেকে অপসারণ করানোর কারণ জানতে চাইলে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, একটি বিভাগের ১৯ জন শিক্ষকের মধ্যে ১৬ জন শিক্ষক যে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়ে তার সঙ্গে কাজ করা যায় না বলে অপসারণ চান তখন আমার কি করার থাকে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ১১-এর ১০ ধারা মোতাবেক তাকে অপসারণ করে চিঠি পাঠিয়েছি। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় এক্ট এর এ ধারায় বলা আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো স্বার্থে উপাচার্য মহোদয় যে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। অপসারণ নিয়ে এটাই বোধহয় আমার প্রথম সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু তিনি সেটা না মেনে, হাইকোর্টে আবেদন জানান। হাইকোর্ট তাকে ৩ মাসের জন্য চেয়ারম্যান থাকার আদেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৮
কেডি/এসআরএস