সকাল থেকে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পাশাপাশি ঝড়ো আবহাওয়ায় দিনের বেলায় একেবারেই অন্ধকার হয়ে যাওয়ায় মোমবাতির আলোয় পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে পৌনে ১২টা পর্যন্ত মোমের আলোয়ই পরীক্ষা চলে।
পরীক্ষা কেন্দ্রে এসময় বাইরে থেকে মোম আনিয়ে প্রতিটি হলরুমেই ১০টি করে মোমবাতি জ্বালানো হয়। তবে কলেজের কিছু কিছু ভবনের হাতেগোনা কয়েকটি কক্ষে আইপিএসের বিকল্প ব্যবস্থা থাকায় সেখানে মোমের প্রয়োজন হয়নি।
পরীক্ষা শেষ করে বের হওয়া পরীক্ষার্থী ফারিয়া জানান, কলাভবনের নীচতলা থেকে শুরু করে প্রায় অনেকগুলো কক্ষেই মোমের আলোয় পরীক্ষা দিতে হয়েছে তাদের। টেবিলের মাঝে মোম দেয়া হয়েছিল তবে ৩ থেকে ৪টি টেবিল পর পর মোম দেয়ায় তাতেও অনেক সময় দেখতে ও লিখতে অসুবিধা হয়েছে।
মূলত সকাল থেকেই প্রচণ্ড ঝড়ো আবহাওয়ায় আকাশ একেবারেই অন্ধকার হয়ে আসে। দিনের বেলায় রাতের আঁধার নেমে আসে পুরো শহরেই। এর মধ্যেই পরীক্ষা শুরু হওয়া পরপরই ঝড়ো বাতাস বইতে থাকে। পরে প্রশ্নপত্র দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই মোমবাতির ব্যবস্থা করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সেই মোমের আলোয়ই পরীক্ষা সম্পন্ন হয় প্রায় দুই ঘণ্টা। আগামীতে এ ধরনের অবস্থা বিবেচনায় তাই বিদ্যুতের বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে কলেজ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন ছাত্রছাত্রীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
এসএইচ