রাজশাহী মহানগরের উপকণ্ঠ পবা উপজেলার কচুয়াতৈল এলাকায় সার্ভে ইনস্টিটিউটের নতুন এ ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ মে) দুপুরে প্রধান অতিথি হিসেবে ক্যাম্পাসটির উদ্বোধন করেন রাজশাহীর সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
পরে ক্যাম্পাস চত্বরে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বক্তব্য দিতে গিয়ে লিটন বলেন, সার্ভে কলেজের নতুন ক্যাম্পাস নির্মাণে তিনি মেয়র থাকা অবস্থায় মন্ত্রণালয়ে গিয়েছিলেন। প্রকল্প পাস করিয়ে এনেছেন। এ সার্ভে ইনস্টিটিউট ভূমি জরিপের দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করবে। প্রতিষ্ঠানটি একদিন ভূমি জরিপ সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, সারাদেশে সার্ভে ইনস্টিটিউট মাত্র দু’টি। রাজশাহী সার্ভে ইনস্টিটিউট এখানকার মানুষের গৌরবের প্রতিষ্ঠান। এটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ দেওয়ার জন্য খায়রুজ্জামান লিটন যে স্বপ্ন দেখেছেন, সে স্বপ্ন পূরণে তিনি তার পাশে থেকে সহযোগিতা করে যাবেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, রাজশাহী সার্ভে ইনস্টিটিউট জেলা পরিষদ থেকে পরিচালিত হলেও এর উন্নয়নে সাবেক মেয়র লিটন যে ভূমিকা রেখেছেন তার জন্য রাজশাহীর সব মানুষ তার কাছে কৃতজ্ঞ। আগামীতেও তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন বলে আশা করেন তিনি।
এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যোগাযোগের জন্য একটি মাইক্রোবাস উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এএইচএম খালিদ ওয়াসি কেটু, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মাহাবুবুর রহমান, সদস্য আসাদুজ্জামান মাসুদ, সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের সদস্য রাবিয়া খাতুন সীমা, মহানগরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কামরুজ্জামান কামরু, রাজশাহী ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড সার্ভে ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাহাবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রতিষ্ঠানটির ইন্সট্রাক্টর বাদশা আলম।
এর আগে ১৮৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী সার্ভে ইনস্টিটিউট। এতোদিন মহানগরের প্রাণকেন্দ্র সোনাদীঘি-রাজারহাতা এলাকায় নিজস্ব ভবনেই চলতো এর কার্যক্রম। কিন্তু ভবনগুলো হয়ে উঠেছিল অত্যন্ত জরাজীর্ণ। তাই ক্যাম্পাস নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার পর কচুয়াতৈল এলাকায় এ ক্যাম্পাস নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
প্রায় তিন একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে পুরো ক্যাম্পাস। সেখানে নির্মিত হয়েছে চারতলা একাডেমিক কাম প্রশাসনিক ভবন, ১০০ শয্যার চারতলা একটি ছাত্রাবাস, ৫০ শয্যার তিনতলা একটি ছাত্রীনিবাস এবং অধ্যক্ষ ও হোস্টেল সুপারের আলাদা আলাদা আবাসিক ভবন। এছাড়া তৈরি হয়েছে অভ্যন্তরীণ রাস্তা, প্রধান ফটক এবং সীমানা প্রাচীর। এ ক্যাম্পাস তৈরিতে ব্যয় হয়েছে ২৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
এসএস/আরবি/