কারণ মেসের তুলনায় ক্যান্টিনের খাবারে উচ্চমূল্য, খাবারের মান, নির্দিষ্ট সময়ের পরে খাবার না পাওয়া, পরিবেশন ব্যবস্থাপনা ও নানাবিধ কারণে শুধু রবিউলিই নন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী সেহেরির জন্য হলের মেসই পছন্দ করেন।
মেসে অন্য সময়ে নিয়মিত খাবারের জন্য শিক্ষার্থী কম থাকলেও রমজানে তা বেড়ে যায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্রদের হলেই ক্যান্টিনের পাশাপাশি মেস রয়েছে। যেখানে শিক্ষার্থীরা মাসের শুরুতে টাকা জমা দিয়ে মেসের পরিচালক ঠিক করেন। পরিচালক সবার চাহিদা অনুযায়ী খাবারের মেন্যু নির্ধারণ করেন। পর্যায়ক্রমে সবজি, ডিম, মাছ, মাংস ও ডাল থাকে খাবারের মেন্যুতে। কোনো কোনো হলের মেসে একই বাজেটে খাবারের পর দুধ ও কলা দেওয়া হয়।
ফার্সি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী চিশতী হোসাইন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, রমজানে সেহরির বিষয়ে অবশ্যই ভাবতে হয়। কারণ অনেক সময় দেখা যায়, ক্যান্টিনে প্লেট থাকে না, লোকজন বেশি হওয়ায় সিট খালি থাকে না। প্রায়ই নির্ধারিত সময়ের আগে সেহরি খাওয়া শুরু করতে হয়। তাই রমজানে ক্যান্টিনের তুলনায় মেস বেশ সুবিধাজনক।
মেসে সেহরি খেতে খরচ হয় ৬৫ টাকা। অপর দিকে একই দাম দিলেও ক্যান্টিনে মেসের মতো আইটেমগুলো পাওয়া যায় না। সেখানে খাবারের মানেও থাকে বিস্তর তফাৎ।
এ বিষয়ে জসীম উদ্দীন হলের দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আল আমিন বলেন, ক্যান্টিনের খাবার সব সময় একই রকম। রমজানের জন্য আলাদা কোনো মেন্যু থাকে না। তবে রমজানে মেসের খাবারের বিষয়টি বাড়তি যত্ন দিয়ে দেখা হয়। তাই সেখানে খাবারের স্বাদ বজায় থাকে।
এদিকে, মেস নির্ভরতার পাশাপাশি কিছু শিক্ষার্থী তাদের সামর্থ অনুযায়ী ক্যাম্পাসের আশপাশের বিভিন্ন হোটেল ও রেস্টুরেন্টেও সেহরি খান। অনেকে আবার নিজে রান্না করে খান। তাদের রান্নায় কখনো বন্ধুরাও অংশ নেন। বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্র বলেন, হলের ক্যান্টিনের চেয়ে মেসের রান্না তুলনামূলক ভালো হলেও নিজে রান্না করলে বাসায় সেহরি খাওয়ার মতো তৃপ্তি পাওয়া যায়।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৮
এসকেবি/ওএইচ/