ডাকসু ভোটের ব্যাপারে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয় সংলগ্ন অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এক আলোচনা সভায় এ দাবি জানায় ছাত্রলীগ। ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস সাংবাদিকদের বিষয়টি জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো আখতারুজ্জামান সভাপতিত্বে সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (দু’টি) আলোচনায় অংশ নেয়।
ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ডাকসু একটি জাতীয় ইস্যু। এটা কোনো ছোট বিষয় নয়। দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে বন্ধ থাকা এ নির্বাচন কয়েক মাসের মধ্যে করা সম্ভব নয়। তাই জাতীয় নির্বাচনের আগে নয়, নির্বাচনের পরে যত আগেই সম্ভব ডাকসু নির্বাচন করা হোক।
এদিকে ছাত্রলীগ ছাড়া বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতারা জাতীয় নির্বাচনেই আগেই ডাকসু নির্বাচন করার দাবি জানিয়েছেন।
জাতীয় নেতৃত্ব তৈরির ক্ষেত্র মনে করা হয় ডাকসুকে। কিন্তু ১৯৯০ সালের ৬ জুন ডাকসু নির্বাচনের পর ছাত্র সংগঠনগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বেশ কয়েকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সে নির্বাচন হয়নি।
দুই যুগ ধরে ডাকসু নির্বাচন না হওয়ায় প্রশাসনকে বাধ্য করতে ২০১২ সালে একটি রিট আবেদন হয়। গত জানুয়ারিতে হাইকোর্ট ছয় মাসের মধ্যে ডাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশনা অনুসারে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় উপাচার্যসহ তিনজনকে গত ৪ সেপ্টেম্বর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। গত ১২ সেপ্টেম্বর আদালতের নির্দেশনার পরও ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা হয়। এরপরই ডাকসু ভোট আয়োজন করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্রিয়াশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে এ আলোচনার আয়োজন করে।
আরও পড়ুন>>>>ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ছাত্রসংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনায় ঢাবি
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮
এসকেবি/ওএইচ/এইচএ/