রোববার (১৪ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান। গ্রেফতার ছয়জন হলেন- জাহিদুল ইসলাম (৪৫), ইনসান আলী ওরফে রকি (১৯), মোস্তাকিম হোসেন (২০), সাদমান সালিদ (২১), তানভীর আহমেদ (২১), আবু তালেব (১৯)।
এর আগে শুক্রবার (১২ অক্টোবর) ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়৷ ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের খবর প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে। অভিযোগের ভিত্তিতে ঢাবি কর্তৃপক্ষ তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
শাহবাগ থানা সূত্রে জানা যায়, ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে পরীক্ষার দিন সকাল পর্যন্ত বগুড়ার রাহেমা কোচিং সেন্টারের সাব্বির ও গুগল অ্যাডমিশন অ্যান্ড ইনফরমেশন সেন্টারের লিমন ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে এবং পরবর্তীতে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে তা শিক্ষার্থীদের কাছে বিক্রি করে। এই প্রশ্নপত্র বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো ও ভাইবারে বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা এস এম কামরুল হাসান বাদী হয়ে শনিবার রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২২ (২), ৩৩ (২) ধারাসহ পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এর ১৩/৪ ধারায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজহারে বলা হয়েছে, সিআইডের সাইবার ক্রাইম টিমের সহায়তায় শুক্রবার (পরীক্ষার দিন) রাত সাড়ে বারটার দিকে তাদের আলামতসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দোয়েল চত্বর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এজহারে বলা হয়, ‘আসামিরা ১২/১০/২০১৮ (পরীক্ষার দিন রাত) ১২টা ৫ মিনিট থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রশ্নফাঁস করে আসছে। আসামিরা তাদের দখলে থাকা মোবাইল সিমকার্ড, ইন্টারনেট, ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে জালিয়াতির মাধ্যমে বেআইনিভাবে ডিজিটাল সিস্টেমে প্রবেশ করে ঢাবিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভিন্ন দফতরের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে তা স্থানান্তর করে অবৈধভাবে অর্থ গ্রহণ করে আসছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন ‘বিশ্ববিদ্যালয় এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেছেন এবং আমরা ছয়জনকে আটক করেছি, তারা এখন থানায় আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৮
এসকেবি/এএটি