ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

এবার ঢাবি 'ঘ' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের দাবি সাদা দলের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৮
এবার ঢাবি 'ঘ' ইউনিটের পরীক্ষা বাতিলের দাবি সাদা দলের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল ও পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণ এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।

এতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট দেওয়ার আগেই ফলাফল প্রকাশের ঘটনায় আমরা তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি ইউনিটের অধীনে প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চারটি ইউনিটের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেও গত তিন বছর ধরে ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা আশা করেছিলাম কর্তৃপক্ষ এবার অভিযোগের সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু এবারও আমরা কর্তৃপক্ষের দায় এড়ানোর প্রবণতা দেখলাম।

প্রশ্নফাঁসের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আগেই ফল প্রকাশের সমালোচনা করে বলা হয়, সব মহলের সমালোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার আগেই ফলাফল প্রকাশ করা হলো। এ ফলাফল কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রকাশিত ফলাফলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের স্বপক্ষে প্রমাণাদি ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা মনে করি ভর্তি পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ঐতিহ্য রক্ষার জন্যই প্রয়োজন নয়, এর সঙ্গে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ জড়িত।

তাই অবিলম্বে বিতর্কিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ এবং একইসঙ্গে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান জানায় সংগঠনটি।

গত ১২ অক্টোবর ঢাবির ঘ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালীন প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠলেও কর্তৃপক্ষ আমলে নেয়নি। পরে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত ছয়জনকে আটক করলে শাহবাগ থানায় মামলা হয়। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।  

প্রথমে ফল প্রকাশ স্থগিত রাখলেও পরবর্তীতে ১৬ অক্টোবর ফল প্রকাশ করা হয়। ঘোষিত ফলাফল অস্বাভাবিক দেখা গেলে শিক্ষার্থীরা দাবি জানায়।  

১৬ অক্টোবর দুপুর থেকে আইন বিভাগের ছাত্র আখতার হোসেন পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে অনশন শুরু করলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সরব হয়ে ওঠেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংগঠনগুলো পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা অক্টোবর ১৮, ২০১৮
এসকেবি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।