ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

জন্মদিনের ভালোবাসায় সিক্ত ইবি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৮
জন্মদিনের ভালোবাসায় সিক্ত ইবি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

ইবি: হাতে হাতে বেলুন, গায়ে রং-বেরংয়ের শাড়ি ও পাঞ্জাবি। সকাল হতেই হলের সামনে শোভাযাত্রার জন্য অপেক্ষা। শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য বিভিন্ন বিভাগ, আবাসিক হল, দফতরগুলো নিজ নিজ ব্যানারে জড়ো হয়েছে প্রশাসন ভবনের সামনে।

বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় জতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৪০তম জন্মদিনের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী।

এসময় উপাচার্যের সঙ্গে ছিলেন- উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এসএম আব্দুল লতিফ। এর পর শুরু হয় আনন্দ শোভাযাত্রা। এতে অংশ নেন বিভিন্ন বিভাগ, আবাসিক হল, দফতর, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ইবি ল্যাবরেটরি স্কুল, শিক্ষক সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন।  

শোভাযাত্রাটি  বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন চত্বর প্রদক্ষিণের সময় ভিন্ন চিত্র ফুটে উঠে। বাদ্যের তালে তালে শোভাযাত্রাটি হয়ে উঠে আরও প্রাণবন্ত। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পদে ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে ১৭৫ একরের ক্যাম্পাসটি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
এদিনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে অফুরন্ত ভালোবাসার মিলবন্ধন খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রাটিতে তা দৃশ্যমান হয়ে উঠে। শিক্ষকের সঙ্গে নিজ মোবাইল ক্যামেরায় সেলফি তোলা, এক সারিতে দাঁড়িয়ে পথচলা সবই দেখা মেলে।

শোভাযাত্রা শেষে কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে কেক কাটার মুহূর্ত চলে আসে। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ উপস্থিত থেকে কেক কাটেন। পরক্ষণেই এ তিন কর্তাব্যক্তি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কেক খাইয়ে দেন। যার ফলে শিক্ষার্থীদের চোখে মুখে প্রাপ্তির ছাপ দেখা যায়। এর পরেই অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গান পরিবেশন করেন। বাদ যায়নি  বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও। কেননা আজকে যে  বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিন। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. শাহিনূর রহমান নিজেই গান পরিবেশন করেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসবের আমেজ বিরাজ করেছে। শিক্ষার্থীরা নিজেদের সাজিয়েছেন ভিন্ন রূপে। ছেলেরা বাহারি রংয়ের পাঞ্জাবি পড়েন, আর মেয়েরা লাল টিপ ও লাল শাড়িতে নিজেদের সাজিয়ে তোলেন। এ যেন রঙ্গিন আভায় সজ্জিত হয়ে উঠে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

জন্মদিনের আমেজে উৎসবমুখর হয়ে উঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি অঙ্গন। জন্মদিনকে বরণ করে নিতে তিন দিন আগেই শুরু হয় প্রস্তুতি। বুধবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয় আলোর ঝলকানি। রঙ্গিন আলোর ঝলকানিতে বিশ্ববিদ্যালয়কে সাজানো হয় নববধূর সাজে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তানজীম আকাশ বাংলানিউজকে বলেন, ‘অল্পদিনেই বুকের একপাশে একটি নাম জায়গা করে নিয়েছে। না কোনো প্রিয়তমা নয়। তবে প্রিয়তমা। সেই প্রিয়তমা হচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। তাই এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গাইবো, নাচবো আর আনন্দ করবো। ’

বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের নুসরাত নামে এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, ‘ক্যাম্পাস জীবন যে কত মধুর তা  বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়লে বুঝতাম না। মাতৃভূমিকে যেমন মা বলা হয়। তেমনি ১৭৫ একর ক্যাম্পাসটি আমার মায়ের মতন। জীবনে অজস্র স্মৃতির মাঝে ক্যাম্পাস জীবনের অল্প সময়ের স্মৃতিটুকই যেন অটুট থাকে। ’ 

৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান দেশ পেরিয়ে বহির্বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। এরকম প্রত্যাশা, প্রাপ্তি আর ভালোবাসায় শেষ হলো এবাবের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।