সোমবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করতে থাকলে তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দফা-রফা শেষে ১১টা ১০ মিনিটে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যদিও সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা ছিল।
সকালে হলের গেটের সামনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ করতে দেখা যায়, এসময় তাদের হাতে আগে থেকে সিল মারা ব্যালট পেপার দেখা যায়। শিক্ষার্থীরা জানান, সকাল ৮টায় ভোটাররা ভোট দিতে লাইনে দাঁড়ান। প্রক্টর গিয়ে সেখানে কথা বলে সময় কাটানোর চেষ্টা করেন। পরে শিক্ষার্থীরা জোর করে ঢুকলে সিল মারা ব্যালট উদ্ধার করা হয়।
খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামাদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানীও। এর খানিকবাদেই হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শবনম জাহানকে অব্যাহতি দেওয়া দেওয়া হয়। নতুন প্রভোস্ট হিসেবে ড. মাহবুবা নাসরীনকে নিয়োগ দেওয়া হয়।
এরপর পুনরায় নির্বাচনের ঘোষণা দেন ডাকসুর সহকারী রিটার্নিং অফিসার ড. মাহফুজুর রহমান। তিনি বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে হল প্রভোস্টকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সিদ্ধান্তে। নতুন হল প্রভোস্ট এসেছেন। এ হলের নির্বাচন ১১টা ১০ মিনিট থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা ১০ মিনিট পর্যন্ত চলবে।
শিক্ষার্থীরা এসময় অভিযোগ করেন, আগে থেকে যেসব ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে, সেখানে ছাত্রলীগের প্যানেলের প্রার্থীদেরই ভোট দেওয়া হয়েছে। তাই তাদের বাদ দিয়ে নির্বাচন করার দাবি জানান তারা। রিটার্নিং কর্মকর্তা এ দাবি মেনে না নিলে তখন ব্যালট পেপারে ছাত্রলীগের প্যানেল কেটে দিয়ে সিল মারা হবে বলে সিদ্ধান্তে উপনীত হয় দুই পক্ষ।
এসময় হলটির নবনিযুক্ত প্রভোস্ট ড. মাহবুবা নাসরীন বলেন, ভোট সুষ্ঠু হবে। সিল মারা সকল ব্যালট পেপার বের করে ফেলা হবে। সর্বোপরি সুষ্ঠু ভোট যে কোনো উপায়ে নিশ্চিত করা হবে।
এরপর হলের ভেতরে শিক্ষার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য লাইন ধরে দাঁড়াতে দেখা যায় এবং ১১টা ১০ মিনিট থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে ও পুনরায় ভোট গ্রহণের আন্দোলনে নেতৃত্বদাতা শিক্ষার্থী ও সহ-সভাপতি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোছা. শিরিন সুলতানা বাংলানিউজকে জানান, ‘আমাদের দাবি সব মেনে নেওয়া হয়েছে। মূলত সমঝোতায় আসা গেছে। সিল মারা সকল ব্যালট পেপার আমাদের চোখের সামনেই বের করে নেওয়া হয়েছে। অন্যান্য ব্যালট পেপারে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ভোট দেওয়ার সময় আমরা ছাত্রলীগের প্যানেলকে কেটে দিয়ে আমাদের মনোনীত প্রার্থীদের সিল দেবো। আর নির্বাচনের ফলাফল দেখে বুঝতে পারবো পুনরায় কারচুপি হয়েছে কি-না। তাছাড়া নির্বাচনের পর ওই প্যানেলের সবাইকে আমরা হল থেকে বের করে দেবো।
বাংলাদেশ সময়: ০৯২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
পিএম/এমএএম/এসকেবি/এইচএ/
** ব্যালটে আগেই সিল মারার অভিযোগ, মৈত্রী হলে বিক্ষোভ