সোমবার (১১ মার্চ) সকাল পৌনে ১১টার দিকে ভোটকেন্দ্রের সামনে একদল শিক্ষার্থী মিছিল শুরু করেন। তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন হলে সিলমারা ব্যালট পাওয়া গেছে।
কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকরা পরিস্থিতি শান্ত করতে শিক্ষার্থীদের সান্ত্বনা দেন। কিন্তু শিক্ষার্থীদের থেমে থেমে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এ পরিস্থিতিতে আধাঘণ্টার মতো ভোট কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। পরে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের তিনজন প্রতিনিধিকে কেন্দ্রের ভেতরে নিয়ে যান দায়িত্বরতরা। প্রায় আধাঘণ্টা ভোট কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর আবার ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
তবে তিন শিক্ষার্থী কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে কোনো ধরনের সুস্পষ্ট কারচুপির অভিযোগ করতে পারেননি।
প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য সমর্থিত জিএস পদপ্রার্থী সুদীপ্তা মন্ডল বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের ভেতরে প্রতিনিধি নিয়ে গেলেও সবগুলো ব্যালট বাক্স দেখানো হয়নি। এ থেকে সূক্ষ্ম কারচুপির বিষয়টি প্রতীয়মান হয়।
এর আগে তিনি বলেন, আমরা শুনেছি কুয়েত মৈত্রী হলে সিলমারা ব্যালটের বস্তা পাওয়া গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা প্রার্থী হিসেবে এখানকার ব্যালট বাক্সসহ ভেতরের পরিস্থিতি দেখতে চাই। কিন্তু নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা আমাদের সেই সুযোগ দিচ্ছে না।
এ পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট সাবিতা রেজওয়ানা বলেন, সবাইকে ভেতরে নেওয়া সম্ভব না। তবে প্রার্থীদের আমরা বলেছি, আপনাদের পক্ষ থেকে তিনজন আমাদের সঙ্গে পাঠান, আমরা নিয়ে যাচ্ছি। তবে ভেতরের পরিস্থিতি সম্পর্কে যা দেখবেন তা-ই বাইরে এসে আপনাকে বলতে হবে। পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়, উসকানিমূলক এমন কিছু বলা যাবে না।
তবে সুফিয়া কামাল হলের ভোট নিয়ে কোনো কারচুপির অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ভোটারদের দীর্ঘ লাইন হল পেরিয়ে শিক্ষা ভবনের মোড়ে গিয়ে ঠেকেছে।
ভোট দিয়ে বের হওয়া শিক্ষার্থী শাহরিন বলেন, ভালো ভোট হচ্ছে। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে খুশি। ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
পিএম/এএ