সোমবার (১১ মার্চ) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করে তারা।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে অনুষ্ঠিত হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৫তম একাডেমিক কাউন্সিলে সান্ধ্যকোর্স পুনরায় চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি জানতে পেরে সকাল থেকেই ইবির প্রশাসন ভবনের সামনে এসে জড়ো হয় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে ‘শিক্ষা কোনো পণ্য নয়’ ‘শিক্ষা নিয়ে বানিজ্য নীতি-এই কি তবে শিক্ষানীতি’, ‘ইভিনিং শিক্ষার্থীদের জন্য বিষফোঁড়া’, ‘টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি বন্ধ করো’ এরকম নানা প্রতিবাদ সম্বলিত ফেস্টুন দেখা যায়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ইভিনিং আমাদের শিক্ষাজীবনের জন্য হুমকি স্বরূপ। যেখানে একজন শিক্ষার্থী সকাল ৯টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ক্লাস করে ঘাম ঝরিয়েও আশানুরূপ ফলাফল করতে পারেনা, সেখানে সপ্তাহে একদিন ক্লাস করে আমাদের থেকে বেশি ফলাফল করে যাচ্ছে। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরীক্ষা বাদ দিয়ে শিক্ষকরা ঝুঁকছে সান্ধ্যকোর্সের দিকে। বিষয়টি আমলে নিয়ে বর্তমান প্রশাসন সান্ধ্যকালীন কোর্স বন্ধ করে দেন। কিন্তু ৬ মাস না যেতেই আবারও এ কোর্স চালু করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে বর্তমান প্রশাসন।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১৩তম একাডেমিক কাউন্সিলে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের সম্মতিতে সান্ধ্যকোর্স বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। পরবর্তীতে গত ২ অক্টোবর ২৪২তম সিন্ডিকেট সভায় সান্ধ্যকালীন কোর্স বাতিল করা হয়। পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ে সান্ধ্যকোর্সের চলমান শিক্ষার্থীদের কোর্স শেষ করার আদেশ দেন। তবে বাতিল হওয়ার কিছুদিন পরপরই বেশকিছু শিক্ষক এর বিরোধীতা করেন। সঙ্গে সঙ্গে পুনরায় এই কোর্স চালুর দাবি জানান। জানা গেছে, শিক্ষক সমিতির নির্বাচনের আগে উভয় দলের মূল ইশতেহার ছিল পুনরায় সান্ধ্যকালীন কোর্স চালুকরণ।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম এবং শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় সান্ধ্যকোর্স চালুর দাবি তোলেন। গত ৫ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী বরাবর সান্ধ্যকালীন কোর্স চালুর জন্য লিখিত দাবি জানান শিক্ষক সমিতি।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১টি বিভাগে সান্ধ্যকোর্স চালু রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৯
এসআরএস