শনিবার (২৩ মার্চ) দুপুরে ডাকসু ভবনে সভা শেষে ডাকসুর সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ডাকসুর আজীবন সম্মাননা সদস্যপদ দেয়ার প্রস্তাব এসেছে।
ড. আখতারুজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে ডাকসুর আজীবন সম্মাননা সদস্য পদ প্রদানের বিষয়ে আইনি ভাষা কী রয়েছে তাও দেখা হবে। এটি একেবারেই আনুষ্ঠানিকভাবে পরবর্তী সভায় গঠনতন্ত্র দেখে আমরা এই কাজটি, মহৎ উদ্যোগটি গ্রহণ করবো। এটি আমাদের আজকের কার্যকরী পর্ষদের সিদ্ধান্ত।
এ বিষয়ে ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আমরা বলেছি যে নির্বাচিন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। সে রকম একটি জায়গা থেকে আমি মনে করি না যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্য পদ প্রদান করা উচিত। সে জায়গা থেকে আমিসহ কয়েকজন বিরোধিতা করেছেন।
পড়ুন>>চলছে ডাকসুর সভা, যোগ দিয়েছেন নুর
‘আমরা বলেছি প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সম্মানীয় ব্যক্তি। তিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নির্বাহী প্রধান। সুতরাং আমরা বলেছি যে, ডাকসুর আজীবন সদস্য পদ দেয়াটা তার জন্য বড় কিছু নয়। যেখানে এ নির্বাচনকে নিয়ে বিতর্কিত একটি অবস্থান রয়েছে, আমরা যখন দায়িত্ব নিচ্ছি শিক্ষার্থীরা, আমার ভাইয়েরা বোনেরা পুনর্নির্বাচেনের দাবি করে বিক্ষোভ করছেন, মিছিল করছেন। ’
ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী বলেন, প্রস্তাবে ডাকসুর ২৫ সদস্যের বডির ২৩ জন সরাসরি সমর্থন করেছেন। একমাত্র ভিপি নুর দ্বিমত পোষণ করেছেন। সুতরাং ডেমোক্র্যাটিক ওয়েতে তার বক্তব্য গ্রহণযোগ্য হয়নি। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে সদস্য পদ দেয়ার সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়ে গেছে। এটি সলভ ইস্যু। ইতোপূর্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আজীবন সদস্য পদ দেয়া হয়েছিল। দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নামটি এসেছে। ডাকসুর বডির পক্ষ থেকে সর্বসম্মতিক্রমে সমর্থন করে আমাদের ডাকসুর সভাপতি বরাবর প্রস্তাব দিয়েছি।
‘তিনি বলেছেন এটি আনুষ্ঠানিকভাবে পরবর্তী মিটিংয়ে সেভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। ’
উল্লেখ্য, গত ১১ মার্চ ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচন হয়। নির্বাচনে ভিপি ও সমাজসেবা সম্পাদক পদে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের প্যানেল থেকে নির্বাচিত হন। আর বাকি সবাই ছাত্রলীগের।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৯
এসকেবি/এমএ