সোমবার (২৫ মার্চ) সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, আন্তঃমন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রমুখ।
ড. দীপু মনি বলেন, এ বছর আমরা ভিন্নতর পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিতে পারছি না। তাই সব ধরনের কোচিং বন্ধ থাকবে। কারণ বিভিন্ন প্রকারের কোচিং সেন্টার রয়েছে, তারা পাবলিক পরীক্ষার সময় কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা অমান্য করে নানাভাবে কোচিং সেন্টার খোলা রাখার চেষ্টা করে থাকে। এ কারণে আমরা বাধ্য হয়ে সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা জারি করছি।
তিনি বলেন, এ বছর ৮টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মোট ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৩০৯ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। তার মধ্যে সাধারণ ৮টি বোর্ডের অধীনে ১১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫০ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে ৭৮ হাজার ৪৫১ জন ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ লাখ ২৪ হাজার ২৬৫ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। সারাদেশে মোট ৯ হাজার ৮১টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে, মোট ২ হাজার ৫৮০ কেন্দ্রে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, এবার বাংলা ভার্সনে সৃজনশীল, রচনামূলক প্রশ্ন ও ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য মোট ৯৫০টি প্রশ্নপত্র এবং ইংরেজি ভার্সনের জন্য সৃজনশীল, রচনামূলক প্রশ্ন ও ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য ৮৯২টি প্রশ্নপত্র সব মিলিয়ে মোট ২ হাজার ১০০টি প্রশ্নপত্র তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়া ভিন্ন ভিন্ন বোর্ডে ১৪টি বিষয়ে ২৭টি পত্রের জন্য সৃজনশীল, রচনামূলক ও বহুনির্বাচনী প্রশ্ন প্রণয়ন করা হয়েছে। নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ডিজিটের রোল নম্বর দেওয়া হয়েছে। উভয় শিক্ষার্থীর জন্য আলাদা কক্ষ, আসন বিন্যাস ও আলাদা প্রশ্ন প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামী ১ এপ্রিল তত্ত্বীয় পরীক্ষা শুরু হয়ে ১১ মে পর্যন্ত চলবে। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১২ মে থেকে শুরু হয়ে ২১ মে শেষ হবে। আগামী ১ এপ্রিল এইচএসসির বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র অনুষ্ঠিত হবে। ১১ মে পরিসংখ্যান (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা দিয়ে তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে। তত্ত্বীয় পরীক্ষা দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বর বহুনির্বাচনী পরীক্ষার জন্য ৩০ মিনিট ও তত্ত্বীয় পরীক্ষার জন্য আড়াই ঘণ্টা সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে গিয়ে আসন গ্রহণ করতে হবে। সকালের পরীক্ষা ১০টা থেকে বেলা ১টা ও বিকেলের পরীক্ষা দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতর কোনো পরীক্ষার্থী মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৫, ২০১৯
জিসিজি/জেডএস