বুধবার (২৭ মার্চ) দিনগত মধ্যরাতে হঠাৎ নোটিশে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও বিকেল ৫টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আন্দোলনকারীরা।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে ক্যাম্পাসে এসে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। মাত্র একদিনের আন্দোলনে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস, পরীক্ষা, একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছেন বলে দাবি শিক্ষার্থীদের। দুপুর পর্যন্ত কোনো শিক্ষার্থী হল ত্যাগ করেননি এবং না করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
এদিকে বুধবার মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার বিষয়টি নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস শিক্ষার্থীদের ছাড়া উদযাপনে প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সকাল হলের খাবার বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেন তারা। পাশাপাশি তারা ৫ দফা দাবিও পেশ করেন।
আন্দোলনকারীরা জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনষ্ঠানে ভিসি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বললেন। এতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষার্থীরা ভিসিকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়াসহ আগের ৫ দফাসহ নতুন আরো ৫ দফা দাবি পেশ করেন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
আন্দোলন এ অব্দি চলমানে রয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগের দাবি জানিয়ে স্লোগান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. ইমামুল বাংলানিউজকে বলেন, যে বিষয়টি নিয়ে আন্দোলন করা হচ্ছে, সেটি কোনো বিষয় না, আর ক্ষমা চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
এমএস/এএটি