তবে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল ৫টার পর বেশিরভাগ আবাসিক শিক্ষার্থীই ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন। এরমধ্যে ছাত্রীর শেখ হাসিনা হলের ভেতরে-বাইরে অবস্থান নিয়ে রয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, তার কোনো অবস্থাতেই হল ত্যাগ করবেন না এবং ভিসির পদত্যাগের পাশাপাশি ১০ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখবেন।
এদিকে শেখ হাসিনা হল থেকে ছাত্রীদের জোর করে বের করে দেওয়ার খবরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেরে বাংলা হল ও বঙ্গবন্ধু হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল সহকারে শেখ হাসিনা হলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পরে বাইরে থাকা ছাত্রীরা হলের মধ্যে প্রবেশ করে এবং হলের মধ্যে একটি মিছিল করে।
শিক্ষার্থীরা জানান, শেখ হাসিনা হল থেকে ছাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে কিছু ছাত্রী হল ত্যাগ করলেও কিছু আবাসিক ছাত্রী শহীদ মিনারে অবস্থান নেয়। পরে বঙ্গবন্ধু ও শেরে বাংলা হলের ছাত্ররা শেখ হাসিনা হলের সামনে গিয়ে বেরুতে থাকা ছাত্রীদের হলের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয় এবং অবস্থান নিতে বলে।
২৬ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের না জানানোর কারণে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ইমামুল হক শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দিলে আন্দোলন আরো বেগবান হয় এবং এরই প্রেক্ষিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা ও শিক্ষার্থীদের বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশনা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১৯
এমএস/এএটি