এদিকে ববির গোটা ক্যাম্পাস ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সরব উপস্থিতি থাকলেও বিকেল থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকেল ৪টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি, বিক্ষোভ এবং সন্ধ্যায় ভিসির পদত্যাগ দাবিতে মশাল মিছিল করবেন তারা।
অপরদিকে আন্দোলনের কারণে ও শুক্রবার হওয়ায় ববি ক্যাম্পাস কিছুটা ফাঁকা হয়ে গেছে।
অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ’র কারণে হোস্টেলের বাইরেরও অনেক শিক্ষার্থীই ক্যাম্পাস ছেড়েছেন। তবে হলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী এখনো সেখানেই অবস্থান করবেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের প্রতিবাদ করায় ভিসি এসএম ইমামুল হক শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের সন্তান’ বলে গালি দেন। এর প্রতিবাদে গত ২৬ মার্চ থেকে তারা লাগাতার আন্দোলন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘রাজাকারের সন্তান’ বলে গালি দেওয়ায় ভিসি নিজে থেকে এসে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইবেন এবং তিনি তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেবেন।
পাশাপাশি তাকে পদত্যাগ করতে হবে। এ দাবি না মানা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে জানিয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, শুক্রবার বিকেলে ভিসি’র অপসারণ দাবিতে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে অবস্থান ও সন্ধ্যায় মশাল মিছিল বের করা হবে।
ববির উপচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূতকর পরিস্থিতি নিয়ে সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর কলাবাগানে লিয়াজো অফিসে সিন্ডিকেটের জরুরি সভা হবে। এর মাধ্যমে ক্যাম্পাসে শান্তি বজায় ও শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
উপাচার্য আরও বলেন, ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা বজায়, শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা হল ত্যাগ না করে আন্দোলন করছেন। কোনো একটি বিশেষ মহল এর পেছনে কাজ করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৯
এমএস/এএটি