বৈধ ভিসির দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের জরুরি সভায় উপাচার্য সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ওই আলোচনার পর শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে অবগত করার কথা থাকলেও রাত দশটা পর্যন্ত অপেক্ষারত শিক্ষার্থীদের কোনো আশানুরূপ সিদ্ধান্ত জানাতে ব্যর্থ হয় গবি প্রশাসন।
এর আগে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সময় চেয়ে নিয়েছিলো গবি’র প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। ট্রাস্টি বোর্ড বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে না নেওয়ায় এবং উপাচার্য বিষয়ে তাদের গৃহীত সিদ্ধান্ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে না আসায় শনিবার (৬ এপ্রিল) থেকে কঠোর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে গবি সাধারণ ছাত্র পরিষদ। এদিন সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন তারা। এরপর সকাল দশটার মধ্যে ট্রাস্টি বোর্ডের আজকের আলোচনায় কি সিদ্ধান্ত এলো তা বিস্তারিতভাবে জানাতে না পারলে তারা কঠোর অবস্থানে যাবেন।
গবি সাধারণ ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক মো. রনি আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, ভেবেছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ড সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু দিন শেষে দেখা গেলো তাদের কাছে আমাদের ন্যায্য দাবির কোনো মূল্যই নেই। এখন আমাদের আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প পথ নেই।
গবি সাধারণ ছাত্র পরিষদের অন্যতম সংগঠক মো. মহসিন হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা আমাদের সনদ পত্রের বৈধতা চাই, আমরা ক্যাম্পাসে বৈধ ভিসি চাই।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
গত ২৮ মার্চ (বৃহস্পতিবার) শিক্ষার্থীরা বৈধ ভিসির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাদামতলায় মানববন্ধন করতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার মো. দেলোয়ার হোসেনের আশ্বাসে আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করে ক্লাসে ফিরে যান।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৯
এসআরএস