ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবির বাজেটে ঘাটতি বেড়েই চলছে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
ঢাবির বাজেটে ঘাটতি বেড়েই চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঢাবির কার্যক্রম পরিচালনায় বাজেটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮১০ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

প্রতিবছরের মতো এবারও বাজেটের আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেটে ঘাটতিও বেড়ে চলছে। এর কারণে নিজস্ব আয় বাড়ানোর জন্য চাপ তৈরি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স কমিটি ও সিন্ডিকেটে অনুমোদনের পর বুধবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশনে বাজেট পাস হবে।

এবারের বাজেটে আয়ের উৎস হিসেবে দেখানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অনুদান ও নিজস্ব আয়। ৮১০ কোটি ৪২ লাখ টাকার এ বাজেটে ইউজিসি দেবে ৬৯৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি বাবদ, ভর্তি ফরম বিক্রি, বেতন-ভাতাদি থেকে কর্তন, সম্পত্তিসহ নিজস্ব খাতগুলো থেকে আয় হবে ৭০ কোটি টাকা। মোট আয় হবে ৭৬৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আগামী অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি থাকবে ৪৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিলো ৪১কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কিন্তু আগের ২০১৭-১৮ অর্থবছর, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের ঘাটতি বাজেটের তুলনায় এবারের আকার খানিকটা বড়।

গবেষণায় বরাদ্দ ২ শতাংশ: ২০১৯-২০ অর্থবছরে গবেষণায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আর বিশেষ গবেষণায় অনুদান বাবদ রাখা হয়েছে ৯ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে গবেষণাখাতে বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে ১৬ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, যা মোট বরাদ্দের মাত্র ২ শতাংশ। এর মধ্যে অর্থনৈতিক ও ব্যবসায় গবেষণা ব্যুরো ৭ লাখ করে, বসু গবেষণা কেন্দ্র ২০ লাখ, কারস ২০ লাখ, কারাস ১৫ লাখ, এনার্জি পার্ক সাড়ে ১৫ লাখ, বাংলা চারিতাবিধান গ্রন্থ প্রণয়ন বাবদ ৩ লাখ, ব-দ্বীপ গবেষণা কেন্দ্র ৮ লাখ, সেমিকন্ডাক্টর টেকনোলজি রিসার্চ সেন্টার ৩৫ লাখ, বায়ো টেকনোলজি গবেষণা কেন্দ্র ২০ লাখ, বিশ্ববিদ্যালয় আর্কাইভ ও ইতিহাস গবেষণা কেন্দ্র ৭ লাখ, ভূমিকম্প প্রকল্প ১০ লাখ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

তবে বিশাল এ বাজেটে গবেষণায় বরাদ্দের পরিমাণ নিয়ে বরাবরের মতো অসন্তুষ্টি আছে শিক্ষাবিদদের।

ঢাবির ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, গবেষণার উপর একটি বিশ্ববিদ্যায়ের মান যাছাইয়ে ভূমিকা রাখে। ঢাবির বাজেটে মাত্র ২ শতাংশ গবেষণায় বরাদ্দ পর্যাপ্ত নয়। উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাসহ ছাত্র স্বার্থসংশ্লিষ্ট খাতে বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘ঢাবি সিনেটের বার্ষিক অধিবেশন বুধবার (২৬ জুন) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হবে। ঢাবি আদেশ, ১৯৭৩ এর ২১ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সিনেটের এই বার্ষিক সভা আহ্বান করেছেন।

সিনেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের বাজেট উপস্থাপন করবেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করবেন সিনেটের চেয়ারম্যান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০১৯
এসকেবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।