শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এ কে এম মাহবুব হাসানকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার বাহাউদ্দিন গোলাপ বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান প্রক্রিয়ায় যে অচলায়তন সৃষ্টি হয়েছিল সেটা এ সিদ্ধান্তের কারণে কেটে যাবে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য সবার যে দাবি-দাওয়া আছে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ট্রেজারার অধ্যাপক মাহবুব হাসান।
উল্লেখ্য গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোর প্রতিবাদকারী শিক্ষার্থীদের ‘কটাক্ষ’করার অভিযোগ উঠে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এসএম ইমামুল হকের বিরুদ্ধে। উপাচার্যের ওই মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২৬ মার্চ বিকেল থেকেই আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একপর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও একাত্মতা প্রকাশ করেন।
গত ২৯ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ৪৬ দিনের (১১ এপ্রিল থেকে ২৬ মে) ছুটি অনুমোদন দেন। ছুটি শেষে ২৭ মে ঢাকার লিয়াজো অফিসে শেষ কর্মদিবসের দায়িত্ব পালন করেন ভিসি ইমামুল হক।
এদিকে সদ্য বিদায়ী ভিসি ইমামুল হকের গত ২৭ মে চার বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর গত চার সপ্তাহ ধরে ভিসি (উপাচার্য) শূন্য হয়ে পড়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। আর কোনো প্রো-ভিসি না থাকায় এখন পুরোপুরি অভিভাবক শূন্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে শুরু হয়ে যায় অচলাবস্থা। পাশাপাশি শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতাও আটকে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়।
** ভিসি না থাকায় অভিভাবক শূন্য ববি!
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৯
এমএস/আরআইএস