শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুর সাড়ে তিনটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসনিক ভবনের তিনটি ফটকের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল পাঁচটায় উপাচার্য ও সিনেট সদস্যদের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, গত ২৬ বছর ধরে বন্ধ আছে জাকসু নির্বাচন। এ দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার নির্বাচনের আশ্বাস দেওয়া হলেও নির্বাচনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অথচ বিভিন্ন সময় নির্বাচনের আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে নস্যাৎ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীরা এ অবস্থার প্রতিকার চান।
আন্দোলন চলাকালে বিকেল পৌঁনে চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সিনেট সদস্য সিনেট হলে প্রবেশ করতে চাইলে শিক্ষার্থীরা বাধা দেন। এ সময় সিনেট সদস্যদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. আমির হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নূরুল আলম, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানসহ কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিকেল পৌঁনে ৫টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় উপাচার্য আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জাকসু নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন গঠনের আশ্বাস দেন। পাশাপাশি সিনেট সদস্যরা জাকসুর বিষয়ে সিনেট অধিবেশনে আলোচনা করার প্রতিশ্রুতি দিলে শিক্ষার্থীরা তাদের অবরোধ সাময়িকভাবে তুলে নেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি আশিকুর রহমান সিনেট সদস্যদের বলেন, ‘৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী সিনেটে জাকসু থেকে মনোনীত পাঁচজন সদস্য থাকার কথা ছিল। কিন্তু ছাত্র প্রতিনিধি ছাড়াই আপনারা সিনেট অধিবেশনে বসছেন। তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নাই। কিন্তু আগামী ৩১ জুলাই এর মধ্যে ক্যাম্পাসে সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করে জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে। এই দাবি মানা না হলে সিনেট হল থেকে সিনেট সদস্যদের বের হতে দেওয়া হবে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৮ জুন ২৮, ২০১৯
আরআইএস/