বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরাম সিনেটে শুক্রবার (২৯ জুন) এ বাজেটে অনুমোদন দেওয়া হয়।
বাজেট পর্যালোচনায় দেখা গেছে,আসন্ন বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন খাতে।
এরপর অবসরকালীন সুবিধা বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ১৫.৩৯ শতাংশ। প্রশাসনিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যা মোট বরাদ্দের ১১.৪২ শতাংশ। বিবিধ ব্যয় বাবদ ১৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। যা মোট বাজেটের ৭.৫৭ শতাংশ।
এদিকে এবারের বাজেটে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতগুলোতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। আবার কিছু কিছু খাতে বরাদ্দ কমিয়েও দেওয়া হয়েছে। বাজেটে গবেষণা খাতে ০.০৫ শতাংশ বরাদ্দ বাড়লেও তা মূল বাজেটের ১.১৫ শতাংশ।
যা গবেষণার জন্য যথেষ্ট নয়। এদিকে ছাত্রবৃত্তি ও ফেলোশিপে বরাদ্দ ০.০৬ শতাংশ কমিয়ে ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার খরচ বাবদ বরাদ্দ কমানো হয়েছে ০.২৬ শতাংশ। এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ ১৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবারের বাজেটে উপাচার্যের গাড়ির জ্বালানি বাবদ ব্যয় এক লাখ টাকা বাড়িয়ে ৬ লাখ টাকা করা হয়েছে। তবে বাজেট বাড়েনি শিক্ষির্থীদের চিকিৎসা খাতে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার (চিকিৎসক-কর্মচারীদের বেতনসহ ওষুধ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক) বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা। যা গত বছর ছিল ৩ কোটি ১২ লাখ টাকা।
এছাড়া বিভিন্ন হলে বরাদ্দের মধ্যেও রয়েছে অসামঞ্জস্য। আবার গবেষণা খাতকে একেবারেই উপেক্ষিত রাখা হয়েছে। এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান গবেষণাগার ‘ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে’র জন্য তেমন বরাদ্দ রাখা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগর অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বাংলানিউজকে বলেন, গবেষণা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিন্তা একটু কম। এখানে শিক্ষকদের চাহিদারও একটা ঘাটতি রয়েছে। তবে যেসব শিক্ষক গবেষণা করতে আগ্রহী তাদের জন্য বরাদ্দের পরিমাণ খুবই কম। যা দিয়ে প্রয়োজনীয় গবেষণা করা যায় না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৯
এমএ/