বুধবার (০৩ জুলাই) দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে এ আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রাটি প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে বের হয়ে কটকা স্মৃতিস্তম্ভ হয়ে হাদী চত্বরে এসে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, বিভাগীয় প্রধান এবং বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশ নেন।
সমাপনীতে উপাচার্য এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, দেশে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর সদিচ্ছা, সরকারের অবিরাম সহায়তা ও ইউজিসির ঐকান্তিক প্রচেষ্টা এ অর্জনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণাকর্মে আন্তরিকতা ও নিরন্তর প্রচেষ্টা এবং শিক্ষার্থীদের একাগ্রতা, অনুশীলন সাফল্যের এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে।
উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্মপ্রচেষ্টার কথা উল্লেখ করে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অর্জিত এ সাফল্য সুসংহত করে সামনে আরো এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার প্রতি আহ্বান জানান। গত ৭-৮ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার গুণগতমান বাড়ানোর অব্যাহত প্রচেষ্টার সাফল্যের স্মারক এটি।
তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে সবক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক র্যাংকিং তালিকাভুক্ত থাকতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এসময় উপাচার্য ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকদের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অর্জনের কাভারেজ দেওয়ার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
এসময় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) পরিচালক প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার জাহান। সঞ্চালনা করেন ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০১৯
এমআরএম/আরবি/