শুক্রবার (৫ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ৯৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
‘প্রসঙ্গ উচ্চশিক্ষা: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা স্বচ্ছতা চাই। এর বাইরে ভিন্ন কিছু চাই না। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে শুধুমাত্র নিবন্ধন পরীক্ষা এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসি) মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে। অন্য কোনো মাধ্যমে নয়। সেখানে পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা আনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কিভাবে শিক্ষক নিয়োগ হবে, এর জন্য কোনো কমিশন গঠন করা হবে কিনা- এগুলো ভাবার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা বলছি। ফলে প্রথাগত চাকরির জগত বদলে যাবে। নতুন ধরনের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। সে কর্মসংস্থানের জন্য এখন থেকেই কারিকুলাম তৈরি করতে হবে। এর জন্য ইন্ডাস্ট্রি এবং অ্যাকাডেমির মধ্যে সমন্বয় করতে হবে।
‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসি জ্ঞান অর্জনের জন্য। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের বিষয়টিও ফেলে দেওয়া যায় না। তাই শিক্ষার্থীদের জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি দক্ষতাও বাড়াতে হবে। তবে জ্ঞানার্জন না করে চাকরির কথা ভাবলে তার জায়গা বিশ্ববিদ্যালয় নয়। ’
ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান। মুখ্য বক্তা ছিলেন ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।
বাংলাদেশ সময়: ২২১১ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০১৯
এসকেবি/এসএ