রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন।
এর আগে স্থাপত্য ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. খন্দকার মাহফুজ-উদ-দারাইনের সভাপতিত্বে ডিগ্রি শো’র বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
উপাচার্য বলেন, সারাদেশে নতুন নতুন ভবন নির্মিত হচ্ছে, নতুন নতুন অবকাঠামো গড়ে উঠছে। বিগত ১০-২০ বছরে ক্রমাগতভাবে দৃষ্টিনন্দন ডিজাইনের ঘরবাড়ি তৈরি হচ্ছে। দেশের শহরের এমনকি গ্রামের ঘরবাড়ির শোভাও পাল্টে যাচ্ছে। এর পেছনে যাদের অবদান তারা স্থপতি। গত ৩০ বছরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিন দেশে একটি স্বতন্ত্র অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। রোববার ডিগ্রি শো’তে নবীন স্থপতিদের যে সমস্ত গবেষণাকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে, তার সবিশেষ দিক তুলে ধরা হলো তাতে আমরা দেখতে পেলাম সারাদেশের উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য ডিজাইন স্থান পেয়েছে। যা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে একটি টেকসই পরিবেশসম্মত সুন্দর নান্দনিক দেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টার স্বপ্ন আমরা দেখতে পাই।
তিনি বলেন, প্রত্যেক জাতিগোষ্ঠী বা নৃ-গোষ্ঠীর স্বতন্ত্র সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ থাকে। নবীন স্থপতিদের তাদের কাজের সময় এ বিষয়গুলো সামনে রেখেই একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ ডিজাইন তৈরি করতে হবে। স্থপতিরা একটি জাতির মনন পরিবর্তনে, একটি দেশ ও অঞ্চলকে বৈচিত্র্যপূর্ণ, দৃষ্টিনন্দন ও সময়ের চাহিদা অনুযায়ী সমৃদ্ধ করে গড়ে তুলতে পারে। তিনি নবীন স্থপতিদের ভবিষ্যৎ সাফল্য কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. তারাপদ ভৌমিক, খুবির ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি স্থপতি জালাল আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক গৌরী শংকর রায়।
নবীন স্থপতিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আকাশ। অনুষ্ঠানে কৃতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে হেড লিস্ট ও মাস্টার্স পর্যায়ে বেস্ট থিসিস অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।
এ সময় বিভিন্ন স্কুলের ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান, নবীন স্থপতিদের অভিভাবক, সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রধান অতিথি ও অতিথিরা আর্ক-কেইউ ডিগ্রি শো’তে প্রদর্শিত বিভিন্ন ডিজাইন থিসিস ঘুরে দেখেন।
প্রদর্শনীতে খুলনায় প্রস্তাবিত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির প্রস্তাবিত ডিজাইন, রূপসা ব্রিজের পূর্ব তীরে পাঁচতারা হোটেল, ফুলতলায় মানসিক হাসপাতাল, মংলায় নৌবাহিনীর আঞ্চলিক হেডকোয়ার্টার, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বঙ্গবন্ধু দারিদ্র বিমোচন কেন্দ্র, ঢাকায় ন্যাশনাল ডিজাইন ইনস্টিটিউট, নওগাঁর আতাইকুলায় গণহত্যা মিউজিয়াম, মেহেরপুরে মুজিব নগর স্থলবন্দর, পায়রা বন্দরে জাহাজ নির্মাণের জন্য কারখানা, যশোরে ফুল প্রসেসিং কেন্দ্র, ঢাকার পূর্বাচলে ব্রিটিশ চিন্তা বহির্ভূত যুগোপযোগী শিক্ষা কমপ্লেক্স প্রস্তাবিত নকশাসহ ৩৭ জন নবীন স্থপতির গবেষণা কর্মের ডিজাইন স্থান পেয়েছে। প্রদর্শনী প্রতিদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য খোলা থাকবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
এমআরএম/আরবি/