সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুর ১২টায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল থেকে মৌন মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা ও নতুন প্রশাসনিক ভবন সংলগ্ন রাস্তা হয়ে পুরাতন প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে শেষ হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অলিউর রহমান সান বলেন, ‘ধর তক্তা, মার পেরেক’ এ নীতিতে অপরিকল্পিতভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস ও জীব-বৈচিত্র নষ্ট করে হল নির্মাণ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের বর্তমান অসংগতিগুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ হলের আড়াই কিলোমিটারের আশেপাশে কোনো খেলার মাঠ নেই। আমাদের হলের চারপাশ ঘিরে ও মাঠের জন্য বরাদ্দকৃত জমিতে একটি এবং হলের দক্ষিণ পাশে দুইটিসহ মোট তিনটি ১০তলা হল ভবন তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। চারদিকে ১০তলা হল তৈরি হলে এর মাঝে থাকা পাচঁতলা হলে কোনো আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারবে না। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এ হলে থাকা শিক্ষার্থীরা।
দর্শন বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, রবীন্দ্রনাথ হলের চারপাশে অপরিকল্পিতভাবে ১০তলা ভবন নির্মাণ করা হলে ওই হলে কোনো আলো-বাতাস প্রবেশ করতে পারবে না । এতে এ হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। রবীন্দ্রনাথ, রফিক-জব্বার ও ভাসানী হলের শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ না থাকায় এবং বিনোদনের অভাবে অনেক শিক্ষার্থীই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।
মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুল ফয়সাল শাওন, ইংরেজি বিভাগের ৪৩তম ব্যাচের সাজ্জাদ, বাংলা বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের ওয়াদুদ, আইন ও বিচার বিভাগের ৪৪তম ব্যাচের জুবায়ের, গণিত বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের মুজিবুর রহমান শিশির প্রমুখ।
এর আগে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় জাবিতে ১০তলা বিশিষ্ট ছয়টি আবাসিক হল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ৩০ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম পাঁচটি হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৯
এসএ/