তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের ছোঁয়া লাগায় অনেকে আগেই ফল জেনেছেন।
ইন্টারনেটে আগেই ফল জানলেও অনেকে আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটে আসে প্রিয় কলেজ ক্যাম্পাসে।
দুপুর পৌনে ১টায় কলেজ প্রাঙ্গণে নোটিশ বোর্ডে ফলাফল টাঙিয়ে দেওয়া হয়। ফলাফল দেখেই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা।
ফল প্রকাশের পর কলেজ মাঠজুড়ে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস যেন রূপ নেয় বাঁধভাঙা জোয়ারে। সন্তানরা ভালো ফল করায় অনেক অভিভাবক ও শিক্ষকও শরিক হন সেই আনন্দে। শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ ‘ভি চিহ্ন’ দেখিয়ে আবার কেউ কেউ সেলফি তুলে আনন্দ করেছে। তীব্র গরম উপেক্ষা করে গান আর বাদ্যের তালে নেচে-গেয়ে নিজেদের আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
তবে প্রত্যাশিত ফলাফলে অনেকের চোখে ছিল আনন্দাশ্রু। বাঁধভাঙা আনন্দের মধ্যে কিঞ্চিৎ বেদনার চিত্রও লক্ষ্য করা গেছে কারও কারও। প্রত্যাশিত ফল করতে না পারায় অনেকেই ভেঙে পড়েন কান্নায়।
প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ২০১৯ সালে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে ১৫৮৯ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে। পাসের হার শতভাগ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ১২২ জন শিক্ষার্থী। এবার পাস শতভাগ এবং জিপিএ-৫ বেড়েছে ৩৬৭টি।
২০১৮ সালে কলেজ থেকে ১৫৩৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে একজন অকৃতকার্য হয়। যার মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৭৫৫ জন। পাসের হার ছিল ৯৯ দশমিক ৯৪।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে মাহমুদা। তিনি বলেন, ভালো ফলে মা-বাবার পাশাপাশি শিক্ষকদের ভূমিকা রয়েছে।
জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী নবীন, সায়হাম ও সায়ন্তী ঢোলের তালে তালে নেচে গান করছিল। সায়হাম জানায়, ভালো করতে হলে ফাঁকি দেওয়া যাবে না।
প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শওকত আলম বলেন, প্রতিটি শিক্ষার্থী পড়াশোনায় অনন্য। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল এটি।
তিনি বলেন, ভালো ফল করার চেয়ে জরুরি ভালো মানুষ হওয়া। আশা করছি, ভালো করা শিক্ষার্থীরা সুন্দর মানুষ হয়ে দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
টিএম/এএ