বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ১০টার পর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
প্রকাশিত ফল বিশ্লেষণ করে জানা যায়, ২০১৫ সালে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিলো ৭০ দশমিক ০৬ শতাংশ, ২০১৬ সালে দশমিক ০৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৭০ দশমিক ১৩ শতাংশে।
২০১৮ সালে ৩১ হাজার ৮১৭ জন ছাত্র ও ৩০ হাজার ৩৫৬ জন ছাত্রী মিলিয়ে মোট ৬২ হাজার ১৭৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলো। ২০১৯ সালে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে ১ হাজার ৩৬৫ জন। এ বছর পরীক্ষায় ৩২ হাজার ২৩২ জন ছাত্র ও ৩১ হাজার ৩০৬ জন ছাত্রী মিলিয়ে মোট ৬৩ হাজার ৫৩৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন।
অপরদিকে, গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ প্রায় দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০১টিতে। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৬৭০ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে ৮৩৫ জন, মানবিক বিভাগে ২৮০ জন ও বাণিজ্য বিভাগে ৮৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
পাশাপাশি গত বছরের তুলনায় এবার বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে। এবছর ৩০জন পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত বছর ছিলো ৭৪ জন।
এবছর ৩৩০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১১৮ টি সেন্টারে ৬৩ হাজার ৫৩৮ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৪৪ হাজার ৮৮৭ জন। যারমধ্যে ছাত্রী ২১ হাজার ২৫৮ জন এবং ছাত্র ২৩ হাজার ৬২৯ জন। এছাড়া মেয়েরা জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৭৩৫ জন। ছেলেরা জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪৬৬ জন। পাসের হার ও জিপিএ এগিয়ে মেয়েরা।
বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনোয়ারুল আজিম বাংলানিউজকে জানান, শিক্ষার গুণগত মান বাড়ায় ও শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোনিবেশ করায় সার্বিকভাবে এবারে ফলাফল ভালো হয়েছে। এ ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আরও যত্নশীল হতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এমএস/ওএইচ/