শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন- এই কলেজগুলোকে খারাপ ফলাফলের কারণ জানতে চেয়ে দ্রুত চিঠি দেওয়া হবে। জবাব আশানুরূপ না হলেই নেওয়া হবে ব্যবস্থা।
এবছর রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাট সদর উপজেলার হিচমী আদর্শ কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় মাত্র একজন শিক্ষার্থী। কিন্তু একমাত্র শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। জয়পুরহাট নৈশ বিদ্যালয়ের তিনজন পরীক্ষার্থীর কেউই পাস করতে পারিনি। গেলো বছরও ওই কলেজের সাতজন পরীক্ষায় অংশ নেয়। কিন্তু সবাই ফেল করে।
একই অবস্থা সিরাজগঞ্জ সদরের চৌগাছা মহিলা কলেজেরও। গতবছর মাত্র একজন পরীক্ষার্থী ছিল এই কলেজে। সেবারও ওই পরীক্ষার্থী ফেল করে। এছাড়া রাজশাহীর দুর্গাপুরের দাবিপুর কলেজ ও বগুড়ার সারিয়াকান্দি গণকপাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের দু’জন করে পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও কেউ পাস করতে পারেনি।
অপরদিকে নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার চকউলি বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ থেকে ১৪ পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে কেউ পাস করেনি। একই উপজেলার চককামদেব আদর্শ কলেজে পরীক্ষার্থী ছিল নয়জন। তাদেরও সবাই ফেল করেছে।
ফলাফল ঘোষণার পর এর কারণে জানতে চাইলে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনারুল হক প্রাং বলেন, এই কলেজগুলোকে দ্রুত চিঠি দেওয়া হবে। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হবে খারাপ ফলাফলের কারণ। জবাব আশানুরূপ না হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজশাহী বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত এইচএসসি পরীক্ষায় এবার পাসের হার ৭৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। বোর্ডটিতে এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ৭২৯ জন শিক্ষার্থী। পাসের হারে মেয়েরা ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে ছেলেরা এগিয়ে।
প্রকাশিত ফলাফল অনুযায়ী, রাজশাহীতে ছেলেদের পাসের হার ৭২ দশমিক ৩২ শতাংশ। মেয়েদের পাসের হার ৮১ দশমিক ২ শতাংশ। ছেলেরা জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ৫৪১ জন। মেয়েরা জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ হাজার ১৮৮ জন।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অংশ নিয়েছিল মোট ১ লাখ ৫১ হাজার ১৩৪ জন শিক্ষার্থী।
এর মধ্যে সব বিষয়ে পাস করেছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫০ জন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৭, ২০১৯
এসএস/এএ