জাতীয় শোকদিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্ধনমিতভাবে জাতীয় পতাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের যেসব সদস্য শাহাদত বরণ করেছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনায় কোরআন খতমের আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকালে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. একেএম মাহবুব হাসানের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সব সদস্য কালোব্যাজ ধারণ করে শোক র্যালিতে অংশ নেন।
র্যালিটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মহাসড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতির সামনে এসে শেষ হয়।
শোক র্যালি শেষে উপাচার্য বিভিন্ন অনুষদের ডিন, প্রক্টর, বিভাগীয় প্রধান, প্রভোস্ট, পরিচালক, শিক্ষক, ছাত্র উপদেষ্টা, দপ্তর প্রধান, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
উপাচার্যের পুষ্পস্তবক অর্পণের পরপরই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১ ববি শাখা, কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ, বঙ্গবন্ধু হল, শেরেবাংলা হল, শেখ হাসিনা হল, ২৪টি বিভাগ, গ্রেড ১১-১৬ ও গ্রেড ১৭-২০ কল্যান পরিষদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণে অংশ নেয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সকাল সাড়ে ১০টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে উপস্থিত সবাই জাতির পিতা ও তার পরিবারের শাহাদতবরণকারী সদস্যদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন।
আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি উপাচার্য (দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. একে এম মাহবুব হাসান ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের কুশীলবদের প্রতি ধিক্কার ও ঘৃণা প্রকাশ করেন এবং এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত যারা এখনও বিচারের আওতায় আসেনি তাদের অচিরেই দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় কার্যকর করার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৯
এমএস/এএ