মন্ত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর জরুরিভিত্তিতে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে তালিকা চেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার সব অঞ্চলের উপ-পরিচালককে চিঠি দিয়েছে।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য সেশন ফি’র নামে শিক্ষার্থীদের কাছে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য দিয়ে চিঠিতে বলা হয়, সেশন ফি’র নামে রীতিমতো ডাকাতি করছে বগুড়ার নামিদামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
‘এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা প্রাইভেট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দৌরাত্ম্য সীমা অতিক্রম করেছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত সেশন ফি ছাড়াও বাজার থেকে চারগুণ-পাঁচগুণ বেশি টাকায় এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বই, খাতাসহ শিক্ষা উপকরণ বাধ্য হয়ে কিনতে হয়। এমনকি স্কুল ড্রেসও প্রতিষ্ঠান থেকে নিতে হয়। ’
চিঠিতে আরও বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমন ডাকাতি কারবার বন্ধ করতে বগুড়ার সমাজসেবী আব্দুল মান্নান আকন্দ হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন। তিনি জনস্বার্থে চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২ জুলাই হাইকোর্টের বিচারক জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মাত্রাতিরিক্ত সেশন ফি গ্রহণকারী বগুড়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সরকারি নীতিমালার বাইরে নেওয়া বাড়তি টাকা অভিভাবকদের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে মর্মে আদেশ দেন।
এমতাবস্থায় শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে সারাদেশে যেসব বেসরকারি কলেজ অতিরিক্ত ফি আদায় করছে তাদের তালিকা আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে সফট কপি ই-মেইলে (ahowlader525 @ gmail. Com) এবং হার্ডকপি সহকারী পরিচালক (কলেজ) বরাবর পাঠাতে বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ