বুধবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান: জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. ফরাস উদ্দিন বলেন, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ, আর এদেশের কৃষক, শ্রমিক তথা সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নই ছিলো বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রধানতম লালিত স্বপ্ন।
‘তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ আজ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার সাফল্যের সিংহ তোরণের অদূরেই পৌঁছে গেছে। যারা বাংলার শত্রু, বঙ্গবন্ধুর শত্রু, যারা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা বাঁধাগ্রস্ত করতে চায় তারা দেশ ও জনগণের শত্রু, সেই শত্রুদের ব্যাপারে আমাদের সজাগ থাকতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের দমন করতে হবে। ’
স্বাধীন, সার্বভৌম বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মতো এমন বাঙালি দরদী, দক্ষ ও দূরদর্শী শাসক আর দেখিনি। বঙ্গবন্ধু তার কোনো নেতা কর্মীর স্বাভাবিক মৃত্যুর কথা শুনলেও কাদঁতেন। শিশু, অসহায় মহিলা, দুঃস্থ, দরিদ্র মানুষদের দেখলে সবসময় তিনি তাদের সাথে মিশতেন, কিছু করার চেষ্টা করতেন।
‘বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসুরী শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়। এর কারণ তিনি একাত্তরের পরাজিত শক্তির সঙ্গে কোনো আপোষ করেননি এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। ’
সভাপতির বক্তব্যে খুবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিলো নির্দিষ্ট দর্শনের ভিত্তিতে। যা রাষ্ট্রীয় চার নীতির মধ্যে অন্তর্নিহিত। কিন্তু একাত্তরের পরাজিত শক্তি এ দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অর্থনৈতিক সাফল্য কোনো কিছুই ভালোভাবে নেয়নি। পরাজিত শক্তির দোসর মোশতাকসহ কয়েকজন গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়।
‘১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করলেও তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি দোসরেরা। বঙ্গবন্ধু মিশে আছেন বাংলার প্রান্তরে, প্রকৃতিতে, আকাশে-বাতাসে, মানুষের হৃদয়ের মণিকোঠায়,’ বলেন তিনি।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন খুবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার, ডিসিপ্লিন প্রধানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৯
এমআরএম/এমএ