রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তারা আব্দুস সালাম হল ও ক্যাম্পাসের আশেপাশে বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়।
এসময় পরিস্থিতি সামাল দিতে এসে আব্দুল মালেক উকিল হলের প্রভোস্ট ও অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ফিরোজ আহমেদ গুরুতর জখম হন। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু মুজিব হলের সহকারী প্রভোস্ট ইকবাল হোসেন এবং রাফি ও রনি নামে দুই ছাত্রলীগকর্মীসহ মোট ৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আহতদের মধ্যে ড. ফিরোজকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, শনিবার রাতের মারামারিকে কেন্দ্র করে ফের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শোডাউন দিতে থাকে। যা একসময় সংঘর্ষে রূপ নেয়।
পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর হোসেন জানান, ক্যাম্পাসে শতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে, সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ১টার দিকে হল বন্ধ করে ১ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এবং একই সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রহল আব্দুস সালাম হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯
এসএইচ