রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।
পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন চিরকুটের মাধ্যমে ছাত্রলীগের ৩৪ জন নেতাকে যে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দিয়েছেন সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ বিরোধী কাজ ও নৈতিকতার স্খলন। তাই তাদের উচিত দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করা। এছাড়া ডাকসুর পদগুলো থেকে ছাত্রলীগের আটজন নেতাকে বহিষ্কার করে তাদের শূন্য পদগুলোতে পুনরায় নির্বাচন দিতে হবে।
মানববন্ধন থেকে তিনটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো- যারা অবৈধভাবে ভর্তি হয়েছেন তাদের ছাত্রত্ব ও ডাকসুর পদ বাতিল করে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার, খালি পদগুলোতে দ্রুত উপনির্বাচন দেওয়া। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম ও বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের পদত্যাগ।
এসময় তারা ‘পরীক্ষা ছাড়া ডাকসু নেতা আমাদের নেতা নয়’, ‘ডাকসুর জালিয়াত, ঢাবি ছাড় ঢাবি ছাড়’, ‘যে ডাকসু অছাত্রদের, সেই ডাকুস চাই না’সহ বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড বহন করেন।
রোববার একটি শীর্ষ জাতীয় দৈনিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদের আট নেতার ছাত্রত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। তারা সবাই ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শেষ হওয়ায় নির্বাচনের কয়েকদিন আগে তারা ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের মাস্টার্স অব ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামে ভর্তি হন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৯
এসকেবি/এএ